নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: যাদবপুর, ট্যাংরা, কামারহাটি, বাগুইহাটির পর এবার আবারো আবাসনের একটি অংশ হেলে পড়ল কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডে। ১২ লোকনাথ বোস গার্ডেন লেনে আট বছর আগে একটি আবাসন তৈরি হয়েছিল। তার একটি অংশ হেলে পড়েছে। লোহার ডিম দিয়ে পাশের আবাসনের সঙ্গে হেলে পড়া বিল্ডিংটিকে ঠিক না দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি তলাতেই বিম রয়েছে। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে দুটি আবাসন যার কাছাকাছি এসে পড়েছে পরস্পর। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন দুটি আবাসনের আবাসিকরা। ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভার সবকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের কাছে তাদের অঞ্চলে কোন কোন বাড়ি হেলে পড়েছে তার তালিকা চাওয়া হয়েছে।
ওই আবাসনটি তৈরি করার সময় নিয়ম মানা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। টপশিয়ার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বিশ্বাস জানিয়েছেন বিষয়টি তার ও নজরে এসেছে আগে তিনি জানতেন না এরপর পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তার কাছে ওয়ার্ড এর পুরনো বহু দলের তথ্য জানতে চেয়েছেন তিনি সেই তথ্য সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেআইনির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে আর তার মধ্যেই একের পর এক আবাসনের বহুতল হেলে পড়ছে। প্রথম গত উল্লেখ করা যেতে পারে কলকাতা পুরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ড বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে সম্প্রতি একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলা টিক কার্যত হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। তদন্ত করে কলকাতা পুরসভা জানতে পারে টেকনিক্যাল ফল্টের জন্য এই ঘটনা ঘটে। এর পাশাপাশি তিন নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ নারায়ণপুর একটি বাড়িও হেলে পড়ে। ২৩ শে জানুয়ারি বিধান নগর কমিশনারের বাগুইহাটির ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি বাড়ি হেলে পড়ে।
অন্যদিকে, শহরে একের পর এক হেলে পড়া বাড়ির দায় বাম আমলের কাঁধে চাপালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতায় বাড়ি হেলে পড়েছে বহু বছর ধরে। তাতে আমরাও হেলে পড়েছি। শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এভাবেই প্রতুত্তর দেন কলকাতার মেয়র। তিনি বলেন,ক্রিস্টোফার রোডে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে গেছি। তারা সোমবার রিপোর্ট দেবে। এখন কোথাও বেআইনি বাড়ি হচ্ছে না। আগে হয়েছে।হয় তো টাকা ও খেয়েছে। কিন্তু এখন রোজ রোটের মেইনটেইন করা হচ্ছে। কারণ এখন কিছু হলে তাদের চাকরি চলে যাবে। আমার ৪০১ নোটিশ করেছি। ৬/৮/২০২৪ সালে করা হয়েছিল।
নোটিশ নির্ভর করেছে কলকাতা পৌর সংস্থার। কলকাতা এক লক্ষ বাড়ি রয়েছে। সব জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার সম্ভব নয়। প্রথম নয় কমল বোস মেয়র থাকার সময় ২৫ জন মারা গেছে। প্রশান্ত সুরের সময় ১৬ জন মারা গেছে। তার পরেও বাড়ি ভেঙেছে কিন্তু কেউ মারা যায়নি। তার মানে ইলিগ্যাল ৯০ সাল থেকে হচ্ছে। এটা নয় যে এখন হচ্ছে। গার্ডেনরিচের পর আমরা অ্যাপের মাধ্যমে এবং জিও ট্যাগিং করে দিচ্ছি। যেখনে কলকাতায় কোথায় বাড়ি আছে, কোথায় পুকুর আছে সেটা জানা যাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct