আপনজন ডেস্ক: ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম রাষ্ট্রপতি হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিকে চোখ ছিল গোটা বিশ্বের। আমন্ত্রিত ছিলেন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ একাধিক বৈশ্বিক নেতা। আগামী চারবছরের জন্যে আমেরিকার মসনদে বসলেন ট্রাম্প। জল্পনা ছিল, ট্রাম্পের শপথগ্রহণের পরেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ছাড়বে যুক্তরাষ্ট্র। সেই জল্পনাতেই এবার শিলমোহর। জাতিসংঘ জানাল, ২০২৬ জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ছাড়বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই ডব্লিউএইচও থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নবনির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে চিঠি পেয়েছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থাটি। এরপরেই বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতি সংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ছাড়বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী, ডব্লিউএইচও থেকে কোনও সদস্য দেশ বেরিয়ে যেতে চাইলে এক বছরের নোটিশ দিতে হয়। এছাড়া কোনও পাওনা থাকলেও তা পরিশোধ করতে হয়। সেই হিসেবেই একবছর আগেই ডব্লিউএইচও-এর সদস্যপদ ছাড়ার চিঠি দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জানা গিয়েছে, গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডব্লিউএইচও থেকে তার দেশের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেয়ার একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। পাশাপাশি ট্রাম্প তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মার্কিন সরকারের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন, ভবিষ্যতে যাতে ডব্লিউএইচও কে আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনও অর্থ, সহায়তা না করা হয়।
এ বিষয়ে জাতি সংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ডব্লিউএইচও থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ২২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পরেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। এছাড়াও ডব্লিউএইচও এ কাজ করা মার্কিন সরকারের সব কর্মীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ডব্লিউএইচও-এর সবচেয়ে বড় আর্থিক সহায়তাকারী সদস্য দেশ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটির তহবিলে প্রায় ১৮ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct