সজিবুল ইসলাম , মুর্শিদাবাদ, আপনজন: গত ২০ জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার দুপুরে রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদের লালবাগে প্রশাসনিক সভা করেন, সেই সভা থেকে দলীয় নেতা বিধায়ক, সাংসদ ও মন্ত্রী সহ পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন যে সরকারি প্রকল্পের জন্য কেও যদি কোনো উপভিক্তার কাছে থেকে কোনো টাকা চায় বা নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দেন। সেই মতো মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলার কয়েক জন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে। এ নিয়ে বুধবার জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী। সেই সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বিভিন্ন বিষয়ে আক্রমণ করেন। সরকারি পরিষেবা নিতে কাটমানি না দেওয়ার বার্তা দেন রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী লালবাগে এসে,আর সেই বিষয় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বললেন চোরের মায়ের বড় গলা, যিনি চুরির ভাগ করা শিখিয়েছেন তিনি মুর্শিদাবাদে এসে বলছেন চুরি করতে হবে না. এটা মানা যায় না। কংগ্রেস নেতা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলেন “তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ আমি আজ চোর বটে”। অধীর আরো বলেন, চুরি বন্ধ হয়ে গেলে দিদির দলটাই উঠে যাবে। তাই যতদিন চুরি থাকবে ততদিন দিদির দলটা থাকবে।
আরজি কর কান্ডের বিষয়ে হাই কোর্টে রাজ্য সরকার যাচ্ছেন সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই তথ্য লোপাট হয়েছে, তাই গাছ কেটে গাছের উপরে জল ঢেলে লাভ নেই। এখন লোক দেখানোর স্বার্থে রাজ্য সরকার হাইকোর্টে যাচ্ছেন ফাঁসির দাবিতে।
মুর্শিদাবাদ জেলায় বাবরি মসজিদ ও রাম মন্দির তৈরি নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলকে আক্রমণ করেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী,তিনি বলেন, বাংলায় এখন সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কম্পিটিশন চলছে। দিদির দলের নেতারা বলছে বাবরি মসজিদ করব আর বিজেপি নেতারা বলছে রাম মন্দির করব। তবে বর্তমানে ভারতবর্ষের মানুষ মসজিদ মন্দির নিয়ে বিভাজনের রাজনীতি বুঝে গেছে। তার প্রমাণ হলো বিজেপি রাম মন্দির যেখানে তৈরি করেছেন সেখানে বিজেপির পরাজয় হয়েছে। আর এখন দিদি এনআরসি নিয়ে বেশি কথা বলছেন। ২০০৩ সালে বিজেপি সরকারের আমলে এনআরসি আইন নিয়ে আলোচনা উঠে তখন সেই আইনের বিরোধিতা করেনি বর্তমানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তৎকালীন কেন্দ্রের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। বিজেপি সরকারের সঙ্গে থাকলেও এনআরসির বিরোধিতা করেনন,। বিরোধিতা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়েও রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, গোটা দেশের মধ্য সব থেকে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে বাংলায়, এক লক্ষ আটচল্লিশ হাজার দুইশো। সেই সম্পত্তির সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে শুধু মুসলিমদের ইমাম মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়া হবে না পাশাপশি রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রীর ভাতাও দেওয়া হবে। রাজ্যের বিধানসভা ভবন এত পরিমাণে সম্পত্তির উপর রয়েছে সেই সম্পত্তির ভাড়া মাত্র একশো টাকা মাত্র। শুধু সেটা নয় টালিগঞ্জ এর মত জায়গায় ওয়াকফের কিন্তু সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হয় না। দুর্নীতি নিয়েও রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি কংগ্রেস নেতা তিনি বলেন রাজ্য সরকার পুরো দুর্নীতির উপর বসে আছে কোথাও স্যালাইন দুর্নীতি তো কথাও আবাস দুর্নীতি।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct