আপনজন ডেস্ক: দর্শকের অভাব অনুভব করছিল একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও কৌতূহলী সানফিশ। জাপানের একটি অ্যাকোয়ারিয়াম সাময়িকভাবে বন্ধ থাকার সময় এ সমস্যা দেখা দেয়, যা সমাধানে ও মাছকে সান্ত্বনা দিতে একটি অপ্রচলিত পদ্ধতি অবলম্বন করে কর্তৃপক্ষ। জাপানের ইয়ামাগুচি প্রদেশের শিমোনোসেকিতে অবস্থিত কাইকয়োকান অ্যাকোয়ারিয়ামের পোস্ট করা একটি ছবিতে দেখা যায়, সানফিশটি একটি সারিতে সাজানো ইউনিফরমের সঙ্গে সংযুক্ত মানুষের মুখের ছবির সামনে সাঁতার কাটছে। অ্যাকোয়ারিয়াম কর্তৃপক্ষ তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে এ মাসের শুরুতে জানায়, সানফিশটির স্বাস্থ্যগত সমস্যার সমাধানে এটি ছিল ‘শেষ উপায়’। কর্মীদের মতে, তার একাকিত্ব থেকেই এ সমস্যা উদ্ভূত হয়েছিল এবং সমাধানটি কার্যকরও হয়েছে। পর দিন অ্যাকোয়ারিয়ামটি এক্সে লিখেছে, মাছটি আবার সুস্থ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। মাইনিচি শিম্বুন পত্রিকার প্রতিবেদনে সোমবার জানানো হয়, ডিসেম্বরে সংস্কারের জন্য অ্যাকোয়ারিয়াম বন্ধ হওয়ার পর সানফিশটি জেলিফিশ খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং ট্যাংকের গায়ে তার শরীর ঘষতে শুরু করে। শুরুর দিকে কিছু কর্মী ধারণা করেছিলেন, মাছটি পরজীবী বা হজমজনিত সমস্যার শিকার। তবে তাদের একজন ধারণা দেন, দর্শকশূন্য ট্যাংকে একাকিত্বই হয়তো এ সমস্যার মূল কারণ। পৃথিবীর প্রতিটি মহাসাগরে দেখা যাওয়া সানফিশ জাপানে এক ধরনের খাদ্য হিসেবে জনপ্রিয়। ধারণা করা হয়, এটি বন্দি অবস্থায় প্রায় ১০ বছর বাঁচতে পারে। তবে এগুলোকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে অত্যন্ত যত্নের প্রয়োজন হওয়ায় এগুলো সাধারণত অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা হয় না।
কাইকয়োকানের সানফিশটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩১ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ৩০ কেজি। মাইনিচি শিম্বুনকে কাইকয়োকানের কর্মী মাই কাটো জানান, প্রায় এক বছর আগে অ্যাকোয়ারিয়ামে আনা সানফিশটি ছিল ‘কৌতূহলী’ প্রকৃতির এবং ‘যখন দর্শকরা ট্যাংকের কাছে আসত, তখন এটি তাদের দিকে সাঁতার কাটত’। অ্যাকোয়ারিয়ামটি তাদের এক্স পোস্টে জানিয়েছে, ছবি ও ইউনিফরম স্থাপন করার পরের দিনই মাছটি ‘ভালো অনুভব করতে শুরু করে’ এবং ট্যাংকে তার পাখনা নাড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। অনেকে সানফিশের সঙ্গে তাদের পূর্ববর্তী ভ্রমণের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছেন, আবার কেউ কেউ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, অ্যাকোয়ারিয়ামটি ফের চালু হলে তারা দেখতে যাবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct