আপনজন ডেস্ক: কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে আজ সোমবার সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল শিয়ালদহ আদালত। শিয়ালদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস গত বছরের ৯ আগস্ট করা অপরাধের জন্য শনিবার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেন।
বিচারক দাস বলেন, দোষীকে মৃত্যুদণ্ড না দেওয়ার যুক্তি হিসাবে অপরাধটি “বিরলের মধ্যে বিরলতম” বিভাগে পড়ে না। আদালত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআই অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ‘মৃত্যুদণ্ড’ চেয়েছিল। ওই ধারার শাস্তির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আদালত অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে বলেন, আপনার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ গঠন করা হয়েছে এবং যেসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, সেগুলো আগের দিন বলেছি।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় দাবি করেন, তিনি কিছুই করেননি এবং তাঁকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি ধর্ষণ বা খুন কিছুই করিনি। আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। আপনারা সব দেখেছেন। আমি নির্দোষ। আমি আগেই বলেছি আমাকে নির্যাতন করা হয়েছে। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় বলেন, ওরা আমাকে যা খুশি সই করতে বাধ্য করেছে।
অভিযুক্তদের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, মামলাটি ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ হলেও সংস্কারের সুযোগ থাকা উচিত। তিনি বলেন, ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা হলেও সংস্কারের সুযোগ থাকতে হবে। আসামি কেন সংশোধন বা পুনর্বাসনের যোগ্য নয়, তা আদালতকে দেখাতে হবে। পাবলিক প্রসিকিউটরকে প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে এবং কেন ব্যক্তি সংস্কারের যোগ্য নয় এবং সমাজ থেকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা উচিত তার কারণ জানাতে হবে।
তবে নিহতের পারিবারিক আইনজীবী বলেন, সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ফাঁসির সাজা চাই।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct