আপনজন ডেস্ক: শিয়ালদহ আদালতে শাস্তি ঘোষণা হওয়ার পর বিড়বিড় করে বলে উঠলেন সঞ্জয় রায় 'বদনাম হয়ে গেলাম'। কাঁদো কাঁদো ভাবে সঞ্জয় রায় কে বিড়বিড় করতে শোনা যায়। এজলাস ছাড়ার সময় সঞ্জয় রায় বলতে থাকেন, আমি দোষী হয়ে গেলাম। সোমবার সঞ্জয় রায়ের চুল দাড়ি সম্পূর্ণ ছিল কামানো। একটি জ্যাকেট সে পড়েছিল। ভিতরে ছিল বেগুনি রংয়ের সোয়েটার। সোমবার আদালতে প্রবেশ করার সময় সঞ্জয় রায়ের মুখে চোখে কোন বিশেষ পরিবর্তন ছিল না। কিন্তু শাস্তি ঘোষণা হওয়ার পর সেই সঞ্জয় রায় কাঁদো কাঁদো মুখে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন এজলাসে। সোমবার শিয়ালদহ আদালতের ২১০ নম্বর ঘরে সাজা ঘোষণা হওয়ার আগে বিচারক বক্তব্য জানতে চাইলে সঞ্জয় রায় বলেন সে খুন করেনি। এমনকি অন্য কিছুও করেনি। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। সঞ্জয় রায়কে আরো বলতে শোনা যায়, সে নাকি শুনেছে প্রমাণ কিছু নষ্ট হয়েছে। কিন্তু সে শনিবারের মতো এই দিনও বলে তার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা ছিল। সেটা নষ্ট হয়নি। তাকে নাকি মারধর করা হয়েছে যার যা ইচ্ছে তাই করেছে অত্যাচার করেছে সই করিয়েছে যেখানে বলেছে সেখানেই সে সই করতে বাধ্য হয়েছে। আদালতে সঞ্জয় রায়ের হয়ে তার আইনজীবী সওয়াল জবাব চালান বেশ কিছুক্ষণ। সেই সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দুহাত সামনে ঝুলিয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয় রায় কে আমৃত্যু কারাদন্ডের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে নিহত পড়ুয়া চিকিৎসকের পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। শনিবার সঞ্জয় রায় কে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (৬৪) ধর্ষণ, (৬৬) ধর্ষণের জন্য মৃত্যু ও ১০৩(১) খুনের ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তাকে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct