সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং, আপনজন: বাঙালীর ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। আর সেই পার্বণ কে ঘিরে মেতে ওঠেন আপামোর বাঙালী। পৌষ সংক্রান্তি আর মকর সংক্রান্তি তে চলে পিঠেপুলি ও নবান্ন উৎসব। নতুন চাষের ধানের চাল গুঁড়ো করে নলেন গুড়ের সংমিশ্রণে চলে পিঠে তৈরী।প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে পিঠে উৎসবে মেতে ওঠেন সকলে।পাশাপাশি চিরাচরিত ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করা হয়ে থাকে।
তবে বর্তমানে আধুনিক সমাজে যন্ত্র চালিত মেশিনে চালের গুঁড়ো তৈরী হয়। তবে সে সবে বাঙালীর মন নেই। কারণ প্রকৃত পিঠের স্বাদ পেতে আজও গ্রামগঞ্জে ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করা হয়। সেই গুঁড়ো চাল,বিউলি ডাল,নারকেল সহ অন্যান্য সামগ্রী সহযোগে তৈরী করা হয় সরু চুকুলি,খোলাপিঠে,তেলেপিঠে,নারকেল পিঠে,নবান্নের পায়েস সহ বিভিন্ন ধরনের পিঠে।এক দিকে যেমন পিঠে তৈরীর কাজ চলছে,তেমনি প্রতিবেশী আত্মীয়দের নিয়ে সংক্রান্তির পিঠেপুলি উৎসবে মেতে উঠেছেন বাঙালী সমাজ।
জীভে জল আনা পৌষের পিঠে সম্পর্কে ক্যানিংয়ের বিশিষ্ট সমাজসেবী রবীন্দ্র নাথ অধিকারী জানিয়েছেন, ‘শুধু মাত্র ঢেঁকি ভাঙা চালের গুঁড়ো নয়,পিঠের প্রকৃত স্বাদের জন্য গ্যাসের পরিবর্তে উনুনের আগুন ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও যে গুড় নবান্ন উৎসবে খাওয়া হয়, তার স্বাদ অসাধারণ। নিজেরাই খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরী করে থাকি। যেটা খাঁটি এবং প্রকৃত নলেন গুড়। স্বাদে গন্ধে ভরপুর।’
ক্যানিংয়ের এক গৃহবধু প্রতিমা মন্ডল জানিয়েছেন,প্রতিবছর শীতের সময় সংক্রান্তিতে পিঠে তৈরী করি। বাড়িতে আত্মীয় বন্ধু-বান্ধবরা ভীড় জমায়। তাদের কে প্রকৃত পিঠের স্বাদ দিতে পেরে আনন্দ হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct