আপনজন ডেস্ক: রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি খাত লক্ষ্য করে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। কিয়েভ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে। এই হামলার মাত্র এক দিন আগেই কিয়েভ জানিয়েছিল, তারা যুদ্ধে সবচেয়ে বড় বিমান হামলা চালিয়েছে, যেখানে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে কয়েক শ কিলোমিটার দূরে রুশ সামরিক কারখানা ও জ্বালানি কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করা হয়েছিল।
ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া গত রাতে ৪৩টি ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৭৪টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে, যা মূলত পশ্চিম ইউক্রেনের স্থানগুলো লক্ষ্য করেছে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আরেকটি ব্যাপক রুশ হামলা। শীতের মাঝেও রুশদের লক্ষ্য একই রয়ে গেছে : আমাদের জ্বালানি খাত।’ এদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে, তাদের বাহিনী জ্বালানি স্থাপনাগুলোর ওপর ‘উচ্চ নির্ভুল’ আক্রমণ চালিয়েছে, যেগুলো ‘ইউক্রেনের সামরিক শিল্প কমপ্লেক্সকে সহায়তা করে’। এ ছাড়া সব নির্ধারিত লক্ষ্যস্থলেই আঘাত করা হয়েছে বলেও তারা ফের দাবি করেছে, কিন্তু ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৪৭টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। জেলেনস্কি বলেছেন, কর্তৃপক্ষ ‘আমাদের জ্বালানিব্যবস্থার কার্যক্রম’ বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। দনবাসে রাশিয়ার অগ্রগতি
অন্যদিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন শহরের মেয়র জানিয়েছেন, ‘আমাদের সম্প্রদায়ের কিছু অংশ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন’ রয়েছে গতর আতের বোমাবর্ষণের ফলে। তবে তিনি কোনো সংখ্যা জানাননি।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ আগেই আসন্ন ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে সতর্ক করে দেশব্যাপী বিমান হামলার সতর্কতা জারি করেছিল।
সংবাদদাতারা বুধবার ভোরে রাজধানী কিয়েভে সাইরেনের শব্দ শুনেছেন। মস্কো কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে। রাশিয়ার দাবি, এই আক্রমণগুলো ইউক্রেনের সামরিক সহায়তাকারী স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে।
এ ছাড়া রুশ সেনাবাহিনী আগের দিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে এবং এ জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এদিকে উত্তর খারকিভ ও পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রুশ বাহিনী তাদের জনশক্তি ও সম্পদে সুবিধা গ্রহণ করে ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে সক্ষম হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct