দায়িত্ব বাড়ল তৃণমূল বিধায়ক মোশারফ হোসেনের। রাজ্যের সংখ্যালঘু বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পেলেন তিনি। এত দিন ওই পদে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন সংখ্যালঘু দফতরের প্রধান সচিব পিবি সেলিম। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেনকে রাজ্যের সংখ্যালঘু বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে ইটাহারের বিধায়ক নির্বাচিত হন মোশারফ। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে কলকাতার কালীঘাটে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের দলীয় সাংসদ, বিধায়ক, দলের জেলা সভাপতি ও বিভিন্ন স্তরের নেতাদের নিয়ে বৈঠক থেকে মোশারফ হোসেনকে দলের সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় । এবার ফের দায়িত্ব বাড়ল ইটাহারের বৈদড়া চেকপোস্টের বাসিন্দা বছর তেতাল্লিশের স্নাতক মোশারফ হোসেনের। জানা গিয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে পর পর দু’বার জেলা পরিষদের সদস্যেরও দায়িত্ব সামলেছেন, দীর্ঘদিন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বও সামলেছেন। তবে এবার একইসঙ্গে সাংগঠনিক এবং প্রশাসনিক তিনটি পদের দায়িত্ব সামলাবেন। নতুন দায়িত্ব পেয়ে ‘আপনজন’ সাংবাদিক এম মেহেদী সানিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অকপটে জানালেন আগামীর পরিকল্পনা।
♦ রাজ্যের সংখ্যালঘু বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পেলেন, কি বলবেন ?
o মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ আমাকে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার জন্য। যে দায়িত্ব আমি পেয়েছি তা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। আমি কৃতজ্ঞ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি। মুখ্যমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে যেভাবে সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন করেছেন সেভাবেই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আমি নিরবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। সংখ্যালঘুদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য আমি অলিতে গলিতে পৌঁছে যাব। মানুষের চাহিদা বুঝে কাজ করার চেষ্টা করব । সংখ্যালঘু সমাজকে আমি আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই ।
♦ একদিকে বিধায়ক, অন্যদিকে সংখ্যালঘু তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি, পাশাপাশি আবার নতুন দায়িত্ব পেলেন। কিভাবে সামলাবেন ?
o প্রতিনিয়ত আমরা মানুষের সেবায় নিয়োজিত, পরিশ্রম করে কাজ করতে জানি। নতুন দায়িত্ব পেলাম, কাজের পরিসর বাড়ল। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি প্রান্তে গিয়ে কাজ করার সুযোগ এসেছে। কোনো অসুবিধা হবে না আশা করছি।
♦ রাজ্যের সংখ্যালঘু বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান পদে বসে প্রথম কাজ কি হবে ?
o প্রথম কাজ হবে ইতিমধ্যেই সূচনা হওয়া চলমান সমস্ত স্কিমের কাজগুলি দ্রুততার সঙ্গে ত্বরান্বিত করা। যেহেতু আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন, তাই আগামী আর্থিক বর্ষের আগে আমি চাই সমস্ত কাজের গতি বাড়াতে এবং সম্পন্ন করতে। যে সমস্ত কাজ অবশিষ্ট রয়েছে সেগুলোর প্রতিও নজর থাকবে। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য কিভাবে নতুন নতুন পরিকল্পনা রুপায়ণ করা যায় তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
♦ ব্যতিক্রমী কোন পরিকল্পনা রুপায়নের ভাবনা রয়েছে ?
o অসহায় দরিদ্র প্রান্তিক সংখ্যালঘুদের উত্তরণের জন্য আমার বিশেষ ভাবনা রয়েছে। এমন পরিকল্পনা গ্রহণের ইচ্ছে রয়েছে যেখানে সংখ্যালঘুরা উপকৃত হবেন, যা সমাজে ফলপ্রসূ হবে, কেবলই যেন অনর্থক অর্থ ব্যয় না হয়। এ বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছি। তবে সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মহলের কাছেও আবেদন জানাই নতুন নতুন জনমুখী পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে আপনারাও আমাকে পরামর্শ দিতে পারেন। এই দপ্তরে বিগত দিন আমি সদস্যে ছিলাম, পূর্বের কিছু অভিজ্ঞতাও রয়েছে, এবার সেগুলিও কাজে লাগবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct