আপনজন ডেস্ক: মাত্র চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ব্যক্তির শরীরে এমপক্স শনাক্ত হওয়ার পর জরুরি অবস্থা জারি করেছে আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দেশটি এই জরুরি অবস্থা জারি করে বলে এক প্রতিবেদনে বলেছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আক্রান্তদের কারোরই সম্প্রতি সংক্রমিত প্রাণী বা ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার রেকর্ড নেই। প্রথম যে ব্যক্তির শরীরে এমপক্স শনাক্ত হয়, তিনি গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারির মধ্যে উত্তরাঞ্চলীয় পোর্ট লোকো জেলার একটি বিমানবন্দর শহর লুঙ্গিতে সম্প্রতি ভ্রমণ করেছিলেন।
এখন পর্যন্ত আক্রান্ত দুই রোগীকেই রাজধানীর ফ্রিটাউনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এমপক্স ভাইরাসটিকে মাঙ্কিপক্সও বলা হয়। ১৯৫৮ সালে বানরের মধ্যে ‘পক্সের মতো’ রোগের প্রাদুর্ভাবের সময় প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল। ঐতিহাসিকভাবে, মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় বেশিভাগ মানব শরীরে এসব সংক্রমণ হয়েছে। সাধারণত সংক্রামিত প্রাণীর সাথে ঘনিষ্ঠ লোকদের মধ্যে এটির সংক্রমণ ঘটে থাকে।
তবে ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো যৌন সংক্রমণের মাধ্যমে এমপক্স ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এর ফলে ৭০টিরও বেশি দেশে প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। এর আগে আগে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের হার কঙ্গোতে। এই বছর আফ্রিকায় আনুমানিক ৪৩ হাজার মানুষের শরীরে সন্দেহভাজন ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার মৃত্যুর বেশিভাগই ঘটেছে আফ্রিকাতে।
সিয়েরা লিওনে ২০১৪ সালে ইবোলা প্রাদুর্ভাব হয়েছিল সবচেয়ে বেশি। এটি ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাস। মূলত পশ্চিম আফ্রিকাকে প্রভাবিত করা এই প্রাদুর্ভাবটি। সারা বিশ্বের মোট ১১ হাজার মৃত্যুর মধ্যে সিয়েরা লিওনেই ৪ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল ভাইরাসটি।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct