হাসান লস্কর, কুলতলি, আপনজন: আবার আতঙ্ক মৈপীঠে। এক সপ্তাহে চারবার লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে বাঘের আগমনে ঘুম উড়েছিল মৈপীঠের বাসিন্দাদের। রবিবার মধ্যরাতে বাঘ খাঁচাবন্দি হওয়ার পরে স্বস্তি মেলে গ্রামবাসীদের। সেই বাঘ কে মৈপীঠের গঙ্গার ঘাট থেকে ঢুলিভাষানি ৪ নম্বর জঙ্গলে ছেড়ে দিল। তার আগে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চিকিৎসা করে গ্লুকোন ডি খাইয়ে সম্পূর্ণ ফিট ঘোষণা করে পশু চিকিৎসক।
বনদপ্তর সূত্রে খবর, বাঘ যাতে বেরোতে না পারে জঙ্গলের চারদিক স্টিলের জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছিল। ঠাকুরান নদীর দিকে মুখ ও আটকে দেওয়া হয়েছিল। খাঁচা বন্দি করেই বাঘ কে জঙ্গল থেকে নৌকায় তুলে খাঁড়ি পথ ধরে নদীতে নিয়ে আসা হয়েছিল। পূর্ণ বয়স্ক বাঘ এটি। মধ্যে রাতে ছাগল কে কামড় দিয়ে শেষ করলেও খায়নি সে। রাগে গজরাতে গজরাতে গর্জন দিচ্ছিল আকাশচুম্বি। যাতে গোটা গঙ্গার ঘাট এলাকা কেঁপে উঠছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন দপ্তর ও টাইগার কুইক রেসপন্স টিমের ৮০ জন কর্মী রাতে জঙ্গলে নেমে বাঘ কে খাঁচাবন্দি করেন। সোমবার সকাল হতেই বনকর্মীরা জাল খোলার কাজ শুরু করেন। দ্রুত জাল গুটিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে আসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগীয় আধিকারিক নিশা গোস্বামী, অতিরিক্ত বন বিভাগীয় আধিকারিক অনুরাগ চৌধুরী। অন্য দিকে, মৈপীঠের গৌড়ের চক এলাকায় জঙ্গল সংলগ্ন রাস্তায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান গ্রামের লোকজন। খবর দেওয়া হয় বন দপ্তর কে। তাঁরা দ্রুত গিয়ে আবার স্টিলের জাল দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু করেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাতের অন্ধকারেও বনদপ্তররা অসীম সাহসিকতার সাথে ফ্রেন্ডশিপ নেট দিয়ে তিন দিক ঘিরে ফেলে গৌড়ের চক জঙ্গল। আতঙ্ক কাটছে না দেখা যাক।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct