সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: নিষেধাজ্ঞা জারির পর কেটে গেছে ৪৮ ঘন্টা। তারপরেও সরকারি হাসপাতালে দেদার চলছে নিষিদ্ধ সংস্থার প্রস্তুত করা স্যালাইন। রোগী ও রোগীর পরিজনেরা জানেনই না কী ধরনের স্যালাইন যাচ্ছে তাঁদের শরীরে।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার পর রাজ্য জুড়ে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থার প্রস্তুত সমস্ত ধরনের স্যালাইনের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সেই নিষেধাজ্ঞার জেরে জেলা সদর ও মেডিক্যাল কলেজে ওই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার বন্ধও হয়ে গেছে। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকার হাসপাতাল এমনকি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও এখনো অব্যাহত রয়েছে ওই স্যালাইনের ব্যবহার। যার অন্যতম উদাহরণ বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের আঁচুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। আজ ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় মেল ওয়ার্ড ও ফিমেল ওয়ার্ড উভয় ক্ষেত্রেই রোগীদের বেডের পাশে দেদার ঝুলছে নিষিদ্ধ সংস্থার স্যালাইন। সেই স্যালাইনই প্রবেশ করছে রোগীদের শরীরে। ওই হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী ও রোগীর পরিজনেরা জানেনই না কী ধরনের স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে তাঁদের শরীরে। বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবী রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে স্পষ্ট ভাবে ওই সংস্থার উৎপাদিত সব ধরনের স্যালাইন বন্ধের ব্যাপারে কোনো নির্দেশিকা এসে পৌঁছায়নি। তারপরেও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার পর মৌখিকভাবে ওই নির্দিষ্ট সংস্থার আর এল স্যালাইন ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct