সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: কুয়োর নোংরা জল খাচ্ছে গোটা গ্রাম। তিন বছর আগে ৩৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পানীয় জলের ট্যাংক বাড়ি বাড়ি রয়েছে জলের ট্যাপ কল। আজও এক বিন্দুও জল পড়েনি ট্যাব কল দিয়ে। জল কষ্টে সোনামুখীর দক্ষিণশোল গ্রাম। এজেন্সির গাফিলতির জন্য এই সমস্যা দাবি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ।
বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের বিজেপি পরিচালিত মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত দক্ষিণশোল গ্রাম । গ্রামে রয়েছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টি পরিবার । গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যায় গ্রামবাসী । স্থানীয় প্রশাসনকে বারংবার পানীয় জলের দাবি জানানোর পর ২০২২ সালে গ্রামের মাঝে ৩৬ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা ব্যয় পশ্চিমবঙ্গ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পক্ষ থেকে জল জীবন মিশন প্রকল্পে একটি মিনি নলবাহিত জল সরবরাহ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হয় । প্রত্যেকটা বাড়ি বাড়ি লাগানো হয় ট্যাপ কল । গ্রামবাসীদের অভিযোগ , এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত ট্যাপ কল দিয়ে এক বিন্দুও জল পড়েনি। বাধ্য হয়েই গ্রামের মাঝে থাকা একটি কুয়োর নোংরা জল পান করেই দিন গুজরান করছে গ্রামের মানুষজন । গ্রামবাসীরা জানান এই কুয়োর জলেই জামাকাপড় থেকে বাসনপত্র ধোয়া গবাদিপশুর পানীয় জল সংগ্রহ করা হয় । গ্রামবাসীরা আরো জানান , এই জল খেয়ে প্রতি মাসে এক দুবার করে শরীর খারাপ হয় অধিকাংশ মানুষের । এই পানীয় জল খেয়ে আতঙ্কে থাকেন গ্রামের মানুষজন । স্থানীয় বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রদীপ মাল জানান গ্রামবাসীরা কুয়োর জল খাচ্ছে এই বিষয়টা তার জানা এটা খুবই দুঃখের বিষয় । ২০২২ সালে রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের প্রকল্প কেন বাস্তবায়ন হল না এই প্রকল্পের টাকা কোথায় গেল তার জবাবদিহি করতে হবে । তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর জল জীবন মিশন প্রকল্প চালু রয়েছে মানিকবাজার পঞ্চায়েতেও ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়া হবে । অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর বিষ্ণুপুর মহকুমার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন , ওই গ্রামে যে জলের ট্যাংক এবং পাইপ লাইনের কাজ করেছে যে সংস্থা তারা খুবই ধীরগতিতে কাজ করছে । এজেন্সির গাফিলতির জন্যই ওই গ্রামে জল পৌঁছায়নি । এই সংস্থার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একাধিকবার চিঠি করা হয়েছে দ্রুত গতিতে কাজ সম্পন্ন করার জন্য। তবে বিষয়টি অতি তৎপরতার সাথে দেখা হবে যাতে করে এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রামের মানুষ জল পায় ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct