আপনজন ডেস্ক: রবিবার বিসিসিআইয়ের বিশেষ সাধারণ সভায় (এসজিএম) ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব ও কোষাধ্যক্ষ পদে দেবজিৎ সাইকিয়া ও প্রভতেজ সিং ভাটিয়ার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক শইকিয়া এবং এর আগে কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ভাটিয়া নিজ নিজ বিভাগে একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় ব্যালট ভোটের প্রয়োজন হয়নি। নির্বাচনী আধিকারিক এ কে জ্যোতি ১০ মিনিট স্থায়ী এসজিএমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দুজনকে পদাধিকারী হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন।জয় শাহ এবং আশীষ শেলারকে বিভিন্ন কারণে তাদের পদ খালি করতে হয়েছিল বলে নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। গত ১ ডিসেম্বর আইসিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ৩০ নভেম্বর পদত্যাগ করেন অমিত শাহ, গত মাসে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই পদত্যাগ করতে হয় শেলারকে। বিসিসিআইকে এখন আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে যুগ্ম-সচিব পদের জন্য নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে, মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিএ) সহ-সভাপতি সঞ্জয় নায়েককে এই বছরের শেষের দিকে এজিএম পর্যন্ত পূরণ করার দৌড়ে এগিয়ে থাকতে হবে।
১৯৯০-৯১ মৌসুমে অসমের হয়ে চারটি রঞ্জি ট্রফি খেলেছেন শইকিয়া। তবে ২০১৬ সালে অসম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে পা রাখার পর থেকেই তাঁর বর্ণাঢ্য কেরিয়ার রয়েছে। গুয়াহাটির বর্ষাপারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উন্নয়নে তিনি উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেছেন।
আসাম সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল হওয়ার সুবাদে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতাও সুবিদিত। আগামীতে টেস্ট এবং ওয়ানডেতে ভারতের পুরুষ দলের রূপান্তর সম্পর্কে জাতীয় নির্বাচকদের সাথে তাকে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। তরুণ উদ্যোগপতি ভাটিয়া, যার পরিবার মদের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, বিসিসিআই প্রশাসনের কাছে তিনি অপরিচিত নন। তিন বছর কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাবার সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০১৬ সালে ছত্তিশগড়ে বিসিসিআইয়ের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ভাটিয়া সিনিয়র বলদেব সিং।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct