জিয়াউল হক, চুঁচুড়া, আপনজন: ডাক্তারবাবু থাকছেন না। তাই সময়ের আগেই বেসরকারি নার্সিংহোমে অস্ত্রপচার। সিজারের পরেই ৮০% ব্রেন ডেথ রোগিণীর। এমনকি কলকাতার বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করে হয়নি সুরাহা। ইতিমধ্যে চুঁচুড়ার আরো একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছে ওই রোগিনী। হুগলির সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা অপর্ণা পাত্র বয়স ২৫। তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যও। স্বামী তোতন পাত্র জানান অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের এক চিকিৎসককে প্রাইভেটে দেখানো হতো। নির্ধারিত প্রসবের সময় এক মাস বাকি থাকতেই চিকিৎসক জানিয়ে দেন তিনি থাকবেন না। তাই তার কথামতোই চুঁচুড়া হাসপাতাল রোডের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করে তার সিজার করা হয়। গত ৬ জানুয়ারি অপর্ণার সিজার করেন চিকিৎসক একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর কোমায় চলে যান প্রস্তুতি। আর জ্ঞান ফেরেনি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তাকে কলকাতা এপোলো হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। । সেখানে কয়েকদিন আই সি সি ইউ তে ভর্তি রাখার পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন তার আশিস শতাংশ ব্র্রেন্ড ডেথ হয়ে গেছে। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে না তিনি। রোগিনী স্বামী বলেন হাসপাতালে খরচও অনেক হচ্ছিল তাই চুঁচুড়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করেছি। ইতিমধ্যেই রোগীর বাড়ির লোক চুঁচুড়া হাসপাতাল রোডের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তোলেন। এরপরেই হুগলি জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জানান। আজ সকালে? হুগলি জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক নিজে সশরীরে এসে ওই নার্সিংহোমে ইনকোয়ারি করেন। এবং তিনি জানান একজন মা এইভাবে মারা যাবে আমরা কিছুতেই সহ্য করব না। অবশ্যই তদন্ত হবে সঠিকভাবে তদন্ত হবে। যদি কাউকে দোষী পাওয়া যায় তার শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে। অন্যদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান সি এম ও ঐইচ এসেছিলেন তিনি সমস্ত কিছুটাই দেখেছেন এবং তদন্তের স্বার্থে সমস্ত কাগজ নিয়ে গেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct