আপনজন ডেস্ক: আইএসএল ডার্বিতে ফের জয়ী হল মোহনবাগান। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী সেই ইস্টবেঙ্গল। এক গোলে জিতলেও ইস্টবেঙ্গলকে দ্বিতীয়ার্ধে দশজনে পেলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও ম্যাচের ফল মোহনবাগানের পক্ষেই। তবে ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ করেছে ইস্টবেঙ্গল।
গঙ্গাসাগর মেলার কারণে নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না, জানিয়ে দিয়েছিল বিধাননগর পুলিশ। সে কারণেই শেষ মুহূর্তে বড় ম্যাচ সরানো হয় গুয়াহাটিতে। ধারে ভারে সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। এই ম্যাচের আগে আইএসএলে ৯ বার মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। এর মধ্যে আটবারই জিতেছিল মোহনবাগান। একটি ম্যাচ ড্র হয়েছিল। আইএসএলে দশম সাক্ষাতে নবম জয় সবুজ মেরুনের। একাধিক চোট আঘাতের কারণে কার্যত মিনি হাসপাতালে পরিণত হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। বড় ম্যাচেও যে এর প্রভাব পড়ত, বলার অপেক্ষা রাখে না। তার মধ্যে মোহনবাগান টেবল টপার। ধারাবাহিক ভালো খেলছে। এ দিনও ম্যাচ শুরুর ২ মিনিটের মধ্যেই সবুজ মেরুনকে এগিয়ে দেন জেমি ম্যাকলারেন। আশিস রাইয়ের থ্রু বল ধরে গোল অজি ফুটবলার জেমির। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সও সামাল দিতে পারেনি। লালচুংনুঙ্গা, হিজাজি মাহের, হেক্টর ইউস্তেকে স্টপারের ভূমিকায় নামালেও, কাজের কাজ হয়নি। ম্যাচের ২ মিনিটে যে গোল ইস্টবেঙ্গল খেয়েছে, সে ক্ষেত্রেও ইয়ুস্তের ভুল। আশিস রাইয়ের পাস পায়ে লাগাতে পারেননি হিজাজি মাহের। ম্যাকলারেন ঠিক জায়গায় ছিলেন। হেক্টর ইয়ুস্তেকে টপকে ঠান্ডা মাথায় প্রথম পোস্টে প্রভসুকান গিলকে গোল দেন তিনি।
সৌভিক চক্রবর্তী দুইবার হলুদ কার্ড দেখে পরিস্থিতি আরও জটিল করে দেন। শেষদিকে আক্রমণে লোক বাড়ানোর পরিবর্তে এক ফুটবলারের কম খেলা সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গলের। প্রতি-আক্রমণ থেকে বল পেয়ে এগোচ্ছিলেন লিস্টন। সৌভিক ছাড়া কোনও লাল-হলুদ ডিফেন্ডার তাঁর সামনে ছিলেন না। বাধ্য হয়ে ট্যাকল করতে গিয়ে ফাউল করেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার। ৬৪ মিনিটে ১০ জনে পরিণত হয় ইস্টবেঙ্গল। জয়ের ব্যবধান মোহনবাগানের পক্ষে আরও বেশি হতে পারে এমন পরিস্থিতিই ছিল। যদিও বাকি সময়টুকু সামলে দেয় ইস্টবেঙ্গল। জেমির একমাত্র গোলেই জয় মোহনবাগানের। তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠল।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct