সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: আগামী ১৮ জানুয়ারি আরজিকর ধর্ষণ খুন কাণ্ডে রায় দান হতে চলেছে শিয়ালদহ আদালতে। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর আরজি করের নিহত পড়ুয়া চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় রায় দান দেবে আদালত। গত বছর ৯ অগাষ্ট এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেছিল। ১৬২ দিনের মাথায় এই রায়দান হতে চলেছে । এদিকে অবহেল বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার আবারো পথে নামল জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিন বিকেলে শ্যামবাজার অভিমুখে মিছিল বের হয় কলেজ স্কোয়ার থেকে। তারা জানিয়েছেন শ্যামবাজারে গিয়ে তারা দোষীদের শাস্তির দাবিতে অবস্থান করবেন এবং রাত দখল করবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, বুধবার শিয়ালদহ আদালতে এই ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী তার মক্কেলের বেকসুর খালাসের আবেদন জানান আদালতে। আদালত কক্ষে আরজি কর কাণ্ডে আদালতে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বেকসুর খালাস চাইলেন আরজি কর হাসপাতালের পড়ুয়া চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বেকসুর খালাস আদালতে চান তার আইনজীবী। শিয়ালদহ আদালতে বর্তমানে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছে। বুধবার অভিযুক্তের পক্ষে আইনজীবী তার মক্কেলের মুক্তি দাবি করেন আদালতের কাছে। আরজি কর কান্ডে ধৃত সিভিক সঞ্জয় রায়কে একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই। ধৃত আইনজীবীর বক্তব্য এই যুক্তির পক্ষে সিবিআই যে প্রমাণ দিচ্ছে তা পর্যাপ্ত নয়। নির্যাতিতার শরীরে ধস্তাধস্তির কোন চিহ্ন নেই। আদৌ এই ঘটনার সঙ্গে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার যুক্ত নয় বলে দাবি করেন তারা আইনজীবী। গোটা ঘটনাটি সাজানো এবং ধৃতকে ফাঁসানো হয়েছে বলে আদালতে মত প্রকাশ করেন সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী। ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার এর আইনজীবী সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে বলেন এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সাজানো ঘটনা । অভিযুক্ত কিছুই করেননি ওকে ফাঁসানো হয়েছে আমরাও বেকসুর খালাসের দাবি জানাচ্ছি। আইনজীবী চুক্তি হলো নির্যাতিতা শরীরে কোন চিহ্ন নেই। বিয়াই তো বলেছে ঘটনা সময় অভিযুক্ত নির্যাতিতার উপরে ছিলেন। তাহলে তো শরীরে ধস্তাধস্তি চিহ্ন থাকা উচিত। জামা ছিঁড়ে যাওয়া উচিত। তেমন তো কিছুই হয়নি। এমনকি অভিযুক্তের আঙ্গুলের ছাপ ও মেলেনি। হতে পারে পুরোটাই সাজানো হয়েছে। এদিকে আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে। জানা গেছে অভিযুক্তরা আইনজীবীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সিবিআই আইনজীবী তাদের বক্তব্য পেশ করবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের চার তলার সেমিনার হল থেকে পড়ুয়া মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাকে খুন ও ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পরের দিন কলকাতা পুলিশ সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল। হাসপাতালে সিসিটিভি ফুটেজে তাকে দেখা গেছিল।
এরপর ঘটনাস্থল থেকে ওই সিভিকের ভাঙ্গা হেডফোন পাওয়া গেছিল। পরে এই ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থা তাদের চার্জশিটে জানায় সিভিক ভলান্টিয়ার একমাত্র অভিযুক্ত। যদিও নির্যাতিতার বাবা ও মা আদালতে জানান এই ঘটনা একজনের পক্ষে করা সম্ভব নয় বলে তাদের মনে হয়। আরোও বিশদে তদন্তের দাবি জানান তারা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct