আপনজন ডেস্ক: বৃহস্পতিবার কলকাতার আউট্রাম ঘাটে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের সন্ন্যাসীদের নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের সমাধিতে ফুল দিয়ে এ বছরের গঙ্গাসাগর মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী ঘাটে একটি স্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পেরও উদ্বোধন করেন যেখানে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী গঙ্গাসাগর তীর্থযাত্রার আগে আসেন। এছাড়া একটি আধুনিক বৈদ্যুতিক জাহাজ ও ৫০টি দমকলের ইঞ্জিন-সহ বেশ কিছু পরিষেবার উদ্বোধন করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার গঙ্গাসাগর মেলাকে কুম্ভ মেলার মতো জাতীয় মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানান। একই কথা শোনা গেল গঙ্গাসাগর আয়োজক কমিটিতেও। গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনে কেন্দ্রের অবদান না রাখার বিষয়টিও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার কুম্ভ মেলার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে এবং মেলাটি রেল ও বিমানপথে অ্যাক্সেসযোগ্য। তবে, এখানে পরিবহন সম্পূর্ণরূপে জলপথের উপর নির্ভর করে, লোকেরা ভ্রমণের জন্য কেবল জলের উপর নির্ভর করে। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার একটি চার লেনের সেতু নির্মাণ করবে। গঙ্গাসাগরকে উপেক্ষা করার জন্য পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারকেও দায়ী করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমরা সব খরচ বহন করেছি। ১২ জন মন্ত্রী বায়ো টয়লেট এবং লিভিং কোয়ার্টারের ব্যবস্থা তদারকি করছেন, ভিড় সামলানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। কলকাতা থেকে একটি নতুন হেলিকপ্টার পরিষেবা ও মুড়ি গঙ্গা নদীর ড্রেজিংয়ের কারণে ২০ ঘন্টা ফেরি পরিচালনার মাধ্যমে গঙ্গাসাগর মেলার জন্য সাগর দ্বীপে পরিবহণ উন্নত হয়েছে। ৮ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে ৩২টি জাহাজ, ৯টি বার্জ, ১০০টি লঞ্চ ও আড়াই হাজার বাস। সাংবাদিক সহ গঙ্গাসাগর মেলায় আসা বা কর্মরত ব্যক্তিরা উৎসব চলাকালীন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমা পাবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct