মাফরুজা মোল্লা , জয়নগর, আপনজন: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জয়নগর থানার অন্তর্গত ধোসা চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলপি গ্রামের বাসিন্দা নাঈম আখন(পেশায় দিনমজুর) ও স্ত্রী রাজিয়া আখন গৃহবধূ । তাদের তিন কন্যা সন্তান রয়েছে । এই পরিবারের তবে। মেজো মেয়ে নাজিরা পড়াশোনায় খুবই ভালো। বাবা-মা চাইতো মেজ মেয়ে পড়াশোনা করে বড় হোক। কিন্তু টাকার অভাবে মেজ মেয়েকে ভর্তি করতে পারছিল না। মাত্র ৩০০ টাকা জন্য বাবা-মা। কেননা এই পরিবারটা একমাত্র উপার্জনকারী তার বাবা। হঠাৎ তার বাবা বলে দেয়। তোদেরকে লেখাপড়ার করাতে পারবো না। কেননা আমার কাছে ভর্তি ফি টাকা নেই। তোদেরকে ভর্তি করতে পারবো না স্কুলে। তখন কান্নায় ভেঙে পড়ে নাজিরা। সেই খবর তথ্য দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার পর। পোস্টে উল্লেখ করেন
মেধাবী ছাত্রী। অর্থের জন্য ভর্তি হতে পারছে না। ক্লাস সিক্সে। ভর্তি ফি ৩০০ টাকা।পাশে থাকার আবেদন রইল। সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন বহু জন। নাজিরা আখন কে। তার বাড়িতে আসেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সোনার তরী চারিটেবল ট্রাস্টের সম্পাদক শ্রীকান্ত বধু ও শান্তনু বাস। তার হাতে তুলে দিলে ভর্তির টাকা সহ স্কুল ব্যাগ, বই, খাতা ও পোশাক। পাশাপাশি শ্রীকান্ত ও শান্তনু বলেন যতদিন পড়তে চায়। ততদিন এর খরচা বহন করবো আমরা। তবে নাজিরা ভর্তি টাকা পেয়ে খুশি। নাজিরা পঞ্চম থেকে সিক্সে উঠবেন এবার। নাজিরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার অন্তর্গত ধোসার চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলপি কামালিয়া হাই মাদ্রাসার ছাত্রী। তবে নাজিরা আখন জানিয়েছে, আমি বড় হয়ে শিক্ষক হতে চাই। শিক্ষক হয়ে আমার মতো অসহায়, দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদেরকে বিনামূল্যে পড়াব। আপনারা আমার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। এ স্বপ্ন যেন বাস্তবায়ন করতে পারি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তার বাবা খুবই অসহায়। কোনমতে দিন আনে দিন খান। এ অসহায় দরিদ্র পরিবারটি। তবে এই পরিবারের মেজ মেয়ে লেখাপড়ার। প্রতি আগ্রহ ও পড়াশোনা খুবই ভালো। টাকার জন্য বাবা-মা ভর্তি করতে পারছিল না। তবে নাজিরা এর জন্য পাশে থেকে। যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct