আপনজন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর জেলায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় দলিত সম্প্রদায়ের এক মেয়ের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া এক মুসলিম যুবকের পরিবার নৃশংস অথ্যাচারের শিকার হয়েছে। ক্ষুব্ধ মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত যুবকের মা ও দুই কাকিমাকে নগ্ন করে গ্রামে ঘোরায়য়। গত ২ জানুয়ারি এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বলে মঙ্গলবার জানা গিয়েছে।
পরিবারের বিরোধিতা থেকে বাঁচতে কয়েক মাস ধরে প্রেম করা ছেলে ও মেয়েটি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মেয়েটির দলিত সমাজে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, যার ফলে ছেলেটির বাড়িতে ভিড় জমান তার বাড়ির লোকজন। ভয়াবহ প্রতিশোধ নিতে ছেলের পরিবারের তিন মহিলাকে জোর করে জনসমক্ষে নগ্ন করে গ্রামজুড়ে ঘোরায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ প্রকাশ করে যে, মহিলারা তাদের রেহাই দেওয়ার আর্জি জানালেও তাতে তারা কান দেয়নি। আশ্চর্যজনকভাবে, কিছু পথচারী ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য করার পরিবর্তে তাদের মোবাইল ফোনে ঘটনাটি ধারণ করে। এই নৃশংস ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় মানবাধিকার কর্মী এবং সাধারণ জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক নিন্দা মিলছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই কিশোরীর মামা। হামলাকারীরা এই ঘৃণ্য কাজটিরও ভিডিও করে। জানা গিয়েছে, মেয়েটি দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত এবং গোরক্ষপুরের গুলরিহা থানা এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী এক মহিলা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তারা (মেয়ের বাড়ির লোকজন) আমাদের বাড়িতে ঢুকে মারধর করে, জোর করে আমাদের জামাকাপড় খুলে ফেলে, টেনে হিঁচড়ে বের করে গ্রামের আশপাশে ঘোরায়। নির্যাতনকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে যখন তিন মহিলা তাদের জানায় যে তারা জানে না যে তাদের মেয়ে কোথায় থাকতে পারে। এ কথা শুনে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মহিলাদের মারধর শুরু করে। ছেলেটির খালা (মাসি) জানান, ৯ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ তাদের মারধর ও কাপড় পুড়িয়ে দেয়। স্থানীয় পুলিশ ঘটনাটি জানতে পেরে তদন্ত শুরু করে এবং বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। কুশীনগর থানার পুলিশ মারধরের মামলা রুজু করেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct