আপনজন ডেস্ক: ওবিসি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দায়ের করা পিটিশনটি মঙ্গলবার চূড়ান্ত শুনানির জন্য ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের পরে রাজ্যের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ৭৭টি সম্প্রদায়ের অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) মর্যাদা বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট ২০২৪ সালের ২২ মে রায় দিয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা মামলার শুনানি চলছিল, সেই শুনানির ছূড়ান্ত দিনের কথা ঘোষণা করল শীর্ষ আদালতে।
বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চ বিষয়টি বিবেচনা করছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিবাল আগামী শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানালে বিচারপতি গাভাই আশ্বাস দেন, মে মাসে গ্রীষ্মের ছুটিতে আদালত বন্ধ হওয়ার আগেই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বেঞ্চকে জানান, জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন তাদের হলফনামা জমা দিয়েছে।
গত বছরের অগাস্টে ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে নোটিশ জারি করার সময় ৭৭টি সম্প্রদায়কে ওবিসি হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করার জন্য অনুসৃত প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে একটি হলফনামা জমা দিতে বলে। হলফনামায় জানাতে বলে, সমীক্ষার প্রকৃতি ও ওবিসি হিসাবে মনোনীত ৭৭টি সম্প্রদায়ের তালিকায় কোনও সম্প্রদায়ের বিষয়ে অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের সাথে পরামর্শের অভাব ছিল কিনা।
অন্যদিকে, রাজ্যের আরও দুটি মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলারও শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না জানান, আগামী ১৫ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। গত বছরের এপ্রিলে কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসি কর্তৃক ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেল থেকে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের প্রায় ২৬,০০০ চাকরির নিয়োগ বাতিল করেছিল। কিন্তু ৭ মে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়া, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (মহার্ঘ ভাতা) মামলার শুনানি মার্চ মাসে হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। গত বছর ১ ডিসেম্বর মামলাটির শেষ বার শুনানি হয়েছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct