মোল্লা মুয়াজ ইসলাম , বর্ধমান, আপনজন: পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার মশারু গ্রামের এক দরিদ্র আদিবাসী পরিবারের ছেলে রবি হাঁসদা। ছোটবেলা থেকেই বলের প্রতি অসীম ভালোবাসা ও একাগ্রতা তাকে পৌঁছে দিয়েছে সন্তোষ ট্রফির মঞ্চে। ছয় বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কেরালার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে বাংলা জিতেছে ৭৮তম সন্তোষ ট্রফি। ফাইনালে রবির করা একমাত্র গোলই বাংলার জয়ের রূপকার হয়েছে।
রবির বাবা সুলতান হাঁসদা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জনমজুরি ছেড়ে টোটো চালানোর কাজ শুরু করেন। তবে গত জুন মাসে তার মৃত্যু পরিবারের জন্য বড় ধাক্কা হয়। মা তুলসী হাঁসদা দিনমজুরি করে সংসার চালালেও রবিকে কখনো মাঠে কাজ করতে দেননি, যাতে তার অনুশীলনে বাধা না আসে। রবিবার নিজের গ্রামে ফিরে রবি হাঁসদা উষ্ণ সংবর্ধনা পান। ছয় জানুয়ারি, সোমবার, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ধমান টাউন হলে রবিকে সংবর্ধিত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা শাসক আয়েশা রানি এ, পুলিশ সুপার শায়ক দাস, রবির কোচ মুদ্রাজ সেডেন প্রমুখ।
রবির কোচ মুদ্রাজ সেডেন বলেন, “প্রচণ্ড দারিদ্র্য সত্ত্বেও রবি কখনো তার প্র্যাকটিস মিস করেনি। তার কঠোর পরিশ্রম এবং বলের প্রতি ভালোবাসাই আজ তাকে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।”
পুলিশ সুপার শায়ক দাস জানান, রবি হাঁসদাকে পুলিশের হেডকোয়ার্টারে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় ছ মাসের লোনে রবি হাঁসদা কাস্টমস থেকে মহামেডানে সই করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct