আপনজন ডেস্ক: কাতারে আনুষ্ঠানিক সফরে গেছেন সিরিয়ার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ হাসান আল-শাইবানি। রোববারই দেশটিতে পৌঁছেছেন তিনি। এরই মধ্যে তার বৈঠক হয়েছে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। বৈঠকের পর কাতারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিরিয়ার নতুন প্রশাসনকে তারা স্বাগত জানাচ্ছে। সিরিয়ার মন্ত্রীরা এরই মধ্যে তাদের ওপর থেকে আমেরিকার একাধিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। সিরিয়াও বিষয়টি স্বীকার করেছে। সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আসাদ সরকারের আমলে আমেরিকা সিরিয়ার ওপর যে নিষেধাজ্ঞাগুলো চাপিয়েছিল, তা যেন এবার তুল নেয়া হয়। কাতার যেন এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করে। এছাড়া কাতারের সঙ্গে সিরিয়া ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে চায় এবং পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণসম্পর্ক প্রত্যাশা করছেন বলেও জানান তিনি।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে সিরিয়ায় ক্ষমতা দখল দখল করেছে ইসলামিক বিদ্রোহী দল এইচটিএস। দীর্ঘ দিনের বাশার আল আসাদ সরকারের পতন হয়েছে। আসাদের সঙ্গে রাশিয়া এবং ইরানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ক্ষমতায় এসেই যেভাবে কাতারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির কথা বলল সিরিয়ার বর্তমান শাসক, তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য, গৃহযুদ্ধের ফলে ৯০ শতাংশ সিরিয়ার মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছেন। তাদের কোনো আয় নেই। অনেকের বাড়ি যুদ্ধে ধসে গেছে। সিরিয়ার অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারি কাজের ক্ষেত্রে সবার বেতন ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, আসাদের আমলে বিশ্ব রাজনীতিতে সিরিয়ার যে কূটনৈতিক অবস্থান ছিল, এবার তা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে আমেরিকার দিকে যাবে। কাতারে গিয়ে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। দেশটি সরাসরি আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এর ফলে তারা যে বিদেশি সাহায্য আরো বাড়াতে পারবে, সে কথাও প্রায় খোলাখুলি বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct