আপনজন ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতারের দোহায় পুনরায় একটি নতুন পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
হামাসের জেষ্ঠ্য নেতা বাসেম নাইম এক বিবৃতিতে জানান, চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে তাদের পক্ষ থেকে যত দ্রুত সম্ভব সমঝোতার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
নতুন আলোচনায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার নিয়েও আলোচনা হবে বলে যোগ করেন তিনি।
দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে তিন রাষ্ট্র কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র। মাসব্যাপী ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে কয়েক দফায় আলোচনা করছে তারা। তবে গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাতের অবসান ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের আলোচনা। চুক্তির বাধা হিসেবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলের অনীহাকে প্রধান কারণ হিসেবে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস সূত্রে জানা যায়, তিনি দোহায় আলোচনার জন্য ইসরায়েলি আলোচকদের অনুমোদন দিয়েছেন। তবে যুদ্ধবিরতি বিলম্বে এরপর একে অন্যকে দোষারোপ করে হামাস ও ইসরায়েল। হামাস জানায়, ইসরায়েল নতুন শর্ত আরোপ করেছে।
বহু বছর ধরে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নির্যাতন, বর্বরতা, গণহত্যা, ধর্ষণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ভূমি দখলসহ বিভিন্ন গুরুতর অন্যায়ের প্রতিশোধ নিতে গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে হামলা চালায় হামাস। নজিরবিহীন এ হামলায় ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা করা ছাড়াও প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা ও স্থল হামলা করে আসছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের হামলায় এই পর্যন্ত সাড়ে ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো এক লাখের বেশি মানুষ।
২০২৩ সালের নভেম্বরে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির আওতায় হামাস শতাধিক ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তিও দেয়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct