আপনজন ডেস্ক: মাইনরিটি মিডিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ইংরেজি নিউজ পোর্টাল ‘মুসলিম মিরর’ ২০২৪ সালের ১০০ জন প্রভাবশালী ভারতীয় মুসলিম-এর তালিকা প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতীয় মুসলমানদের অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতির ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ভারতের ২০ কোটি মুসলিমদের মধ্যে সমাজের মধ্যে প্রভাবশালী মুসলিমরাই এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এই তালিকায় রাজনীতি, ধর্ম, সক্রিয়তা, সাহিত্য, উদ্যোক্তা, শিক্ষাক্ষেত্র, খেলাধুলা এবং বিনোদন সহ সর্ব ক্ষেত্রের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।
মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বেরেলভী, দেওবন্দী, আহলে হাদিস, শিয়া, বোহরা এমনকী জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ, জামায়াতে ইসলামি কিংবা তবলিগি জামাতের ব্যক্তিত্বরাও স্থান পেয়েছেন। এই ১০০ জনের তালিকায় দেশের সুপরিচিত ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ রহমানি, তবলিগি জামাতের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলবি, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের মাওলানা মাহমুদ মাদানি, মাওলানা আরশাদ মাদানি, জামায়াতে ইসলামি হিন্দের সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি, প্রখ্যাত মেডিসিন ব্যান্ড সিপলার কর্ণধার ইউসুফ খাজা হামিদ, উইপ্রোর আজিম প্রেমজি, রাজনীতিবিদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ শামি প্রমুখ যেমন স্থান পেয়েছেন তেমনি বাংলা থেকে স্থান পেয়েছেন তিনজন। তারা হলেন আল আমীন মিশনের সম্পাদক এম নুরুল ইসলাম, পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান ও তরুণ সমাজকর্মী তথা বাগ্মী ওয়ালি রহমানি। আল আমীন মিশনের সম্পাদক এম নুরুল ইসলামকে দুটি বিভাগে নির্বাচিত করা হয়েছে। শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী এই দুটি বিভাগে তার অবদানের কথাও তুলে ধরে দেশের প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আল আমীন মিশনের ছবি সম্বলিত তালিকা দিয়ে লেখা হয়েছে তার অবদানের কথা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নুরুল ইসলাম আল আমীন মিশনের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রতিষ্ঠাতা, যা পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের অন্যান্য অংশে সুবিধাবঞ্চিত মুসলিম শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের জন্য নিবেদিত একটি অগ্রণী শিক্ষামূলক আন্দোলন। ১৯৫৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার ছোট্ট গ্রাম খলতপুরে জন্মগ্রহণ করা নুরুল ইসলাম একটি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসেন। তবে শিক্ষা এবং সমাজসেবার প্রতি তাঁর আবেগ তাঁর জীবনের লক্ষ্যকে বাস্তবে রূপ দেয়। প্রান্তিক মুসলিম শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান এবং তাদের সমবয়সীদের সাথে সমান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য তাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নিয়ে তিনি আশির দশকে আল আমীন মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। মিশন এনইইটি এবং জেইই-এর মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে বিশেষভাবে সফল হয়েছে, যার ফলে এর অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী ভারতের শীর্ষস্থানীয় মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যান্য পেশাদার প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে সক্ষম হয়েছে। আল আমীন মিশন ৭০ টিরও বেশি আবাসিক স্কুল পরিচালনা করে এবং সুবিধাবঞ্চিত পরিবার থেকে উঠে আসা হাজার হাজার ডাক্তার, প্রকৌশলী এবং অন্যান্য পেশাদার তৈরিতে সহায়তা করেছে। মুসলিম মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে রয়েছেন পুবের কলম-এর সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান। তার সম্পর্কে লেখা হয়েছে, ইমরান সাংবাদিক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং বাংলা মিডিয়া জগতে একজন গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন। তিনি “কলম” (বর্তমানে পুবের কলম) নামে একটি বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিকের সম্পাদক, যা প্রান্তিক সম্প্রদায়, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের উদ্বেগ প্রকাশের প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে। তিনি রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান পদেও আছেন।
এছাড়া, বাংলা থেকে স্থান পেয়েছেন মাত্র ২৬ বছর বয়সি ওয়ালি রহমানি যিনি একজন আইনজীবী, সমাজকর্মী ও উমিদ গ্লোবাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা।
একটি আবাসিক প্রতিষ্ঠান যা এতিম, দুস্থ এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার জন্য নিবেদিত।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct