সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং, আপনজন: ইংরাজী নববর্ষের প্রাক্কালে এলে সাফল্য। খোদ রাজস্থান থেকে এক নাবালককে উদ্ধার করলো ক্যানিং থানার পুলিশ।পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রের খবর, ক্যানিং থানার অন্তর্গত দাঁড়িয়া পঞ্চায়েতের নারায়ণগড় দোলতলা গ্রাম। গ্রামেই বসবাস করেন সামসুদ্দিন মন্ডল।স্ত্রী মারা গিয়েছে। এক ছেলে কে নিয়ে সংসার।গত ২০২৩ এর ১৭ আগষ্ট বছর পনেরো বয়সের মসিউর রহমান মন্ডল স্থানীয় বাজারে গিয়েছিল।আর বাড়িতে ফেরেনি। পরিবারের সদস্যরা বিস্তর খোঁজাখুঁজির পর,না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। অবশেষে ওই দিনই ক্যানিং থানা নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে।পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। ইতিমধ্যে মোসিউর রহমানের পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছবি পোষ্ট করে খোঁজ-খবর শুরু করে।
অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ এ সামাজিক মাধ্যমের বার্তা থেকে জানতে পারে মসিউর বহমান মন্ডল নামে ওই নাবালক রাজস্থানের ‘নানতা’ নামক একটি হোমে রয়েছে। কথা হয় ভিডিও কলের মাধ্যমে। এমন খবর পৌঁছায় ক্যানিং থানার পুলিশের কাছে। সঠিক খোঁজখবর করে নাবালকের পরিবার পরিজনদের সাথে নিয়ে ২০২৪ এর ২৭ ডিসেম্বর ক্যানিং থানার পুলিশ রওনা দেয় রাজস্থানের উদ্দেশ্যে। রাজস্থানের নানতা’র এক হোম থেকে ওই নাবালককে উদ্ধার করে। ৩১ ডিসেম্বর রাতে ক্যানিং ফিরে আসে। ওই নাবালকের শারীরিক পরীক্ষার জন্য রাতেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক পরীক্ষার পর ফুলতলা হোমে পাঠানো হয়। পাশাপাশি সরকারী নিয়মবিধি মেনে মসিউর রহমান মন্ডলকে তার পরিবারে হাতে তুলে দেওয়ার জন্য শুরু হয়েছে প্রক্রিয়া। অন্যদিকে হারিয়ে যাওয়া নাবালক সন্তানের খোঁজ পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে নাবালকের পরিবার। তারএক আত্মীয় মোকাবর পুরকাইত জানিয়েছেন, ‘বাজারের যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ১৭ আগস্ট ২০২৩। মসিউর আর বাড়িতে ফেরেনি। সেখান থেকে সাঁতরাগাছি হয়ে রাজস্থান গামী ট্রেনে চেপে বসেছিল।পরে রাজস্থানের টিকিট পরীক্ষকের হাতে ধরা পড়ে। ঠাঁই হয় হোমে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct