সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: বিষ্ণুপুরের ঐতিহাসিক লালবাঁধের কনকনে ঠান্ডা জলে ২০২৫ টি ডুব দিয়ে অভিনব বর্ষবরণ স্থানীয় সাঁতারু সদানন্দ দত্তর , উপচে পরা ভির পর্যটকদের।
নরম গরম পানীয়ে চুমুক দিয়ে রাতভর নাচ গান আর হুল্লোড়ে বর্ষবরণ নয়, রীতিমত হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় ততোধিক ঠান্ডা দিঘির জলে একটানা ২০২৫ টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ কতে নিলেন বিষ্ণুপুরের সাঁতারু সদানন্দ দত্ত। লক্ষ্য একদিন না একদিন এভাবেই ডুব দিতে দিতে ছুঁয়ে ফেলবেন ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তকমা। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের যুবক সদানন্দর ছোট থেকেই নেশা সাঁতার। ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে বড় সাঁতারু হওয়ার। কিন্তু একদিকে পরিবারের অভাব অন্যদিকে সেরমকম প্রশিক্ষণের সুযোগ না মেলায় সদানন্দর স্বপ্ন অধরা থেকে গিয়েছিল। কিন্তু জল নিয়ে তার সাধনা থামেনি। এখন ডুব সংখ্যায় বিশ্ব রেকর্ড স্পর্শ করাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্যেই বাংলা হোক বা ইংরাজি নববর্ষ, বর্ষ সংখ্যার সমান সংখ্যক ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেন ওই যুবক। এবারও তার অন্যথা হলনা। নববর্ষের দুপুরে হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যেই ততোধিক ঠান্ডা লালবাঁধের জল্র একটানা ২০২৫ টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিলেন সদানন্দ। সময় লাগলো মোট ৪৫ মিনিট। শীতের দিনে যেখানে ভরদুপুরেও শীতের পোষাক খোলা রীতিমত কষ্টকর, সেখানে লালবাঁধের ঠান্ডা জলে সদানন্দর এমন ২০২৫ টি ডুব দেখতে হাজির ছিলেন অসংখ্য মানুষ। এভাবেই এগিয়ে যেতে যেতে কী কোনোদিন ছুঁয়ে ফেলবেন তাঁর বিশ্বরেকর্ডের স্বপ্ন? বলবে সময়ই। আপাতত সেই রেকর্ডের ভাবনা না ভেবে সদানন্দর অভিনব বর্ষবরণে মশগুল আপামর বিষ্ণুপুর বাসী।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct