আপনজন ডেস্ক: নবান্ন সূত্রের খবর আজ বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে মেগা প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যেখানে প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক, সমস্ত বিভাগের প্রধান, সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ সুপাররা উপস্থিত থাকবেন।
২০২৬ সালের এপ্রিল-মে মাসে নির্ধারিত বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন সভায় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৬-এর বিধানসভার ভোটকে পাখির চোখ করে একের পর এক সরকারি কর্সূচির উদ্বোধন করছেন। রাজ্যের উন্নয়নকে ঢাল করে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় তৃণমূল। তাই ২০২৬ বিধানসভার আগে রাজ্যের আরও নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে আজকের নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক নিয়ে রাজ্য প্রশাসন ষূত্র মনে করছে, প্রতিবেশী বাংলাদেশে অশান্তির পর পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতিরও অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে লোকজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের গোয়েন্দা তথ্য ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধী দলগুলি। এছাড়াও, জাল পরিচয় এবং পাসপোর্ট রাখার জন্য লোকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল যা আমাদের ভাবমূর্তিও নষ্ট করেছিল। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বছরের শুরুতেই রাজ্য পুলিশ বাহিনীকে বার্তা দিতে পারেন।
অন্যদিকে, রাজ্য সরকার “বাংলার বাড়ি” প্রকল্পের জন্য অর্থ বিতরণ শুরু করেছে যা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ১২ লক্ষ সুবিধাভোগীর মধ্যে ৮ লক্ষেরও বেশি সুবিধাভোগী রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রথম কিস্তি পেয়েছেন, বাকিরা আগামী সপ্তাহে কিস্তি পাবেন।২০২৫ সালে আরও ১৮ লক্ষ সুবিধাভোগীকে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। এ বছর রাজ্য সরকার এই প্রকল্পে ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ করতে চলেছে।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০২৫ সালে বাংলার বাড়ি ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কারণে রাজ্য সরকার বিপুল আর্থিক বোঝার মুখে পড়বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোঝা কমানোর জন্য প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারেন। এ বোঝার কারণে স্বাভাবিক উন্নয়ন কাজ অবহেলিত হচ্ছে। বিধানসভা ভোটের আগে পরিকাঠামোগত কাজও জরুরি বলে মুখ্যমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই প্রশাসনকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’ নিয়ে বার্তা দিয়েছেন, যা গত বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগেও দলের প্রধান অ্যাজেন্ডা ছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct