সুভাষ চন্দ্র দাশ , ক্যানিং, আপনজন: মৃত্যু ছিল যেন সময়ের অপেক্ষা! সেই মৃত্যুর মুখ থেকে প্রাণে বেঁচে বর্ষ শেষে ওরা বাড়ি ফিরলেন। প্রশংসা করলেন চিকিৎসকদের। আর মৃত্যপ্রায় রোগীকে সুস্থ করে বাড়িতে ফেরাতে পেরে খুশি চিকিৎসক মহল।
উল্লেখ্য জয়নগর গোয়ালবেড়িয়ার যুবক যুবক রফিকুল মোল্লা। গত ১২ ডিসেম্বর পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরছিলেন। সেই সময় তাকে একটি চন্দ্রবোড়া সাপ কামড় দেয়।সাপের কামড়ের পর, মুহূর্তে পুকুরে পড়ে গিয়ে হাবুডুবু খেতে থাকে ওই যুবক। প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়ে দৌড়ে আসে। তড়িঘড়ি ওই যুবক কে উদ্ধার করে। প্রথমে স্থানীয় জামতলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ওই যুবকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে চিকিৎসকরা। পরিবারের লোকজন মৃতপ্রায় অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে রফিকুলকে। চিকিৎসকদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় প্রায় কুড়ি দিন পর বুধবার বাড়িতে ফিরলেন। অন্যদিকে কুলতলির ৬ নম্বর জালাবেড়িয়ার এক বধুকে কেউটে সাপ কামড় দিয়েছিল। তিনিও মৃতপ্রায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য। তিনিও বছর শেষে সুস্থ হয়ে বুধবার বাড়ি ফিরে গিয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ অভিজ্ঞ চিকিৎসক ডা. অনুপম হালদার জানিয়েছেন, ‘যখন নিশ্চিৎ মৃত্যু পথযাত্রী কোন মৃতপ্রায় রোগীকে কে সুস্থ করে তোলা হয় সেটা বিশেষ এক অনুভূতি। যা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না।’
অন্যদিকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্পবিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ সমরেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, ‘যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চিকিৎসা পরিষেবা সঠিক ভাবে প্রয়োগ করতে পেরে, মৃতপ্রায় সাপে কামড়ানো রোগীকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সব সময় ভালো লাগে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct