সেখ রিয়াজুদ্দিন , বীরভূম, আপনজন: জেলা সদর শহর সিউড়ীতে রয়েছে শতবর্ষ উত্তীর্ণ ঐতিহ্যবাহী বেণীমাধব ইনস্টিটিউশন। বিল্ডিং খেলার মাঠ সহ বিশাল এলাকাজুড়ে স্কুলের সীমানা। বিল্ডিং এর কাঠামো ঠিকঠাক থাকলেও সীমানা বরাবর ভগ্নদশা।একদা ঘেরা থাকলেও বর্তমানে ধ্বংসাবশেষ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।।এই স্কুলের বিশাল খেলার মাঠটি সিউড়ীর একমাত্র মাঠ খেলা সহ জনসভা বা অন্যান্য কর্মসূচির জন্য। কিন্তু সীমানা প্রাচীর না থাকায় মাঠটি ক্রমশ দিনের দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং আলোচনা সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে প্রয়োজনে চাঁদা আদায় করেও পাঁচিল নির্মাণ করাতেই হবে। সেই মোতাবেক আন্তরিকতা নিয়ে সকলেই ঝাঁপিয়ে পড়েন। স্কুলের ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক শিক্ষিকা ও অভিভাবক সহ জনগণের কাছেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে প্রাচীর নির্মাণের জন্য।
ইতিমধ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সাহায্য দেওয়া নেওয়া শুরু হয়েছে। স্কুলে শিক্ষানুরাগী সুকুমার ঘোষের সভাপতিত্বে শুরু হয় বেনিফিসিয়ারী কমিটির সভা। সেই সভায় উক্ত স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক ও যোগাচার্য ডঃ প্রদ্যোৎ রায় তাঁর এক মাসের পুরো বেতন দান করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এবিষয়ে স্কুলের হালহকিকত তথা প্রাচীর না থাকায় যে সমস্যা এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সকলের মতামত অনুযায়ী এরূপ পরিকল্পনা বলে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজয় কুমার চট্টোপাধ্যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct