আসিফা লস্কর ও চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়, আলিপুর, আপনজন: অপেক্ষার মাত্র কয়েকটা দিন জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৫। গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৫কে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে দফায় দফায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেলা প্রস্তুতির কাজ শুরু করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে বাড়ানো হয়েছে স্নানঘাট। প্রতিবছর মুড়িগঙ্গা নদীতে পলি জমে যাওয়ার কারণে ভেসেল পরিষেবা বিঘ্নিত ঘটে এর ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় ভেসেল ঘাট গুলিতে পুণ্যার্থীদের সেই অসুবিধার কথা মাথায় রেখে এবার ২০২৫ গঙ্গাসাগর মেলাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। মুড়িগঙ্গা নদীতে নাব্রতা বাড়ানোর জন্য চলছে ড্রেজিং। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে সোমবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা শাসকের দপ্তরের জেলার সমস্ত উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠক করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। এর পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি বিশাল, জেলা তথ্য সংস্কৃতিক আধিকারিক অনন্যা মজুমদার সহ জেলা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিক ও কর্তারা।
জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, এ বছর পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য ১৮ থেকে কুড়ি ঘন্টা চলবে ভেসেল পরিষেবা। কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সময় পুণ্যার্থীদের ভেসেল দিক নির্ণয় না করতে পেরে চড়ায় গিয়ে আটকে পড়ে এর জেরে সমস্যার মধ্যে পড়তে হত পূণ্যার্থীদের সেই সমস্যা সমাধান হযেছে। আন্টি ফগ লাইট এবং ইসরোর অত্যাধুনিক ব্যবস্থার এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় থাকছে।
গঙ্গাসাগর মেলায় ১১৫০টি সিসিটিভি লাগানো থাকছে। ১০০ টি সৌরবিদ্যুতের আলোরও বন্দোবস্ত থাকছে এবারের মেলায়। জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা এও বলেন, পুণ্যার্থীরা যাতে ১ নম্বর বিচের দিকেই স্নানঘাটে নিরাপদে পুণ্যস্নান সারতে পারেন,সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। সেখানে যাতায়াতের জন্য নতুন রাস্তাও তৈরি করা হচ্ছে।
বাবুঘাট থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত থাকছে কন্যাশ্রীদের জন্য বাফার জোন। পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে থাকছে ২১ টি জেটি ৯টি অত্যাধুনিক বার্জ থাকছে ৩৫ টি ভেসেল। পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের জন্য ১৬ টি বাফার জোন। প্রতিটি বাফার জন্য থাকছে, পানীয় জলের সুব্যবস্থা এবং চিকিৎসা পরিষেবা। গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৫ এর জন্য থাকছে পাঁচটি অস্থায়ী হাসপাতাল। থাকতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এবং ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স।
গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৫ এ কথা মাথায় রেখে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলায় তৈরি করেছে জেলা পুলিশ। এ বিষয়ে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও নালাঘাট তিনি জানান, সিসিটিভির মাধ্যমে চলবে নজরদারি। খোলা হবে মেগা কন্ট্রোল রুম। গঙ্গাসাগর মেলা নাশকতার ছক বানচাল করার জন্য আকাশ পথের ড্রোনের মাধ্যমে চলবে নজরদারি।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct