এহসানুল হক ও এম মেহেদী সানি, সন্দেশখালি, আপনজন: অবশেষে আসলেন মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশখালিতে। শুধু আশা নয় সন্দেশখালীর জন্য একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন। সন্দেশখালিতে ১২৩ কোটি টাকা খরচ করে ৬৬টি নতুন প্রকল্পের সূচনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।সেতু রাস্তা, বাঁধ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র -সহ একাধিক পরিষেবার ঘোষণা। সন্দেশখালির মা-বোনেদের উদ্দেশ্যেও ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা মমতার। একাধিক ইস্যুতে একযোগে প্রশাসনিক মঞ্চ থেকে কড়া ভাষায় আক্রমণ সিপিএম ও বিজেপিকে। সন্দেশখালিতে গ্রামীণ হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী তিনি বলেন সন্দেশখালীর মহিলারা অসুস্থ হলে দূরে যেতে অসুবিধা হয়। সন্দেশখালি তে এই পর্যন্ত হাসপাতালে ত্রিশটি বেডের ব্যবস্থা রয়েছে আমি কথা দিলাম সন্দেশখালীর মা-বোনেদের জন্য মানুষের জন্য ষাটটি বেডের ব্যবস্থা করছি।আমরা স্বাস্থ সাথী কার্ডে মহিলাদের হেড করেছি। বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ২০ হাজার লোকের কাছে প্রকল্পগুলোর পরিষেবা পৌঁছে যাবে। সন্দেশখালিতে যে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন হল, তার মধ্যে বাঁধ, সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র, রাস্তা, জল সংশোধনাগার-সহ একাধিক বিষয় রয়েছে। পাশাপাশি এদিন সন্দেশখালির মানুষকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন কেউ ডাকলে যাবেন না কারো কথায় শুনবেন না আমাদের উপরে ভরসা রাখুন আমি যেটা কথা দিয়ে কথা রাখি সন্দেশখালি এক নতুন সন্দেশখালিতে রূপান্তরিত হবে।২৬ জানুয়ারির পর নতুন করে সন্দেশখালি-সহ দুর্গম এলাকাগুলিতে ফের দুয়ারে সরকার শিবির করতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে এই সব এলাকার মানুষগুলো পুনরায় সুবিধা পায় সরকারি। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দুয়ারে সরকার চলবে। দুয়ারে সরকারের মাধ্যমেই জাতিগত শংসাপত্রের সমস্যা মেটানো হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।সভায় সামিল জনতার মধ্য থেকেই সন্দেশখালিতে সেতু নির্মাণের আবেদন জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। যদিও মমতা বলেন, একটি সেতুর কথা বলে গেলাম। আগে দুটি সেতু করে দিয়েছি। টাকার সংকুলান হলে ফের সেতু বানানো হবে, আমার অনেক কিছুই দেখতে হয় অনেক প্রকল্প চলছে সেইগুলো সামাল দিতে হয়। সন্দেশখালির ২ নম্বর ব্লকে ঝুপখালিতে বাড়মাজুর ১ নম্বর ও ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে নতুন সংযোগকারী সেতু তৈরি হবে। তবে আপনাদের যাতায়াতের সুবিধের জন্য জেটিঘাটের উন্নয়ন করা হচ্ছে। লঞ্চ ও স্পিডবোটের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সন্দেশখালিতে শাহজাহান কাণ্ডের প্রায় ১ বছর পর সেখানে পা রেখে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা মমতার। বললেন, “দুষ্টু লোকের খপ্পরে পড়বেন না। আর মেয়েরা, কেউ ডাকলে চলে যাবেন না। আমি জানি টাকার অঙ্কের খেলা হয়েছে। সব ভাঁওতা। যা হয়েছে, ভুলে গেছি। মনে রাখতে চাই না। দাঙ্গা নয়, শান্তি চাই।”এদিন সন্দেশখালিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় এসে, বহু মহিলারা বলেন আমরা আন্দোলন করেছিলাম আমাদের জমি যারা কেড়ে নিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী আমাদেরকে জমি ফেরত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর উপরে আমাদের কোন আর রাগ নেই। আজ নিজের ইচ্ছায় গিয়েছিলাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায়। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দিকে তাকাবেন এটাই আমাদের ভরসা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct