নাজমুস সাহাদাত , বারুইপুর, আপনজন: কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির বারুইপুরের উত্তর খোদারবাজারে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে চলেছে ইলমা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এটি MFERD- মিল্লাত ফাউন্ডেশন ফর এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর প্রশিক্ষণ দ্বারা পরিচালিত দক্ষিণ ২৪ পরগণায় সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ইলমা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। বর্তমানে এই স্কুলে ৩০২ জন ছাত্রছাত্রী ও ২৩ জন স্থায়ী এবং ৪ জন অস্থায়ী শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে পঠনপাঠন চলছে। উক্ত সংস্থা প্রায় ৩০ বছর ধরে কওমের খিদিমত করে চলেছেন। এবং তার দ্বারা পরিচালিত ইসলামিক ও মর্ডাণ এডুকেশনের প্রসারের উদ্দেশ্যে সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এ পর্যন্ত ১৫ টি স্কুল ওই সংস্থার স্বীকৃতিতে চলছে।
এটি একটি আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি পবিত্র কোরআন, হাদীস ও ইসলামিক শরিয়তি বিষয়ক অভিজ্ঞ আলিমের দ্বারা তারবিয়াত দেওয়া হয়। এছাড়াও অন্যান্য স্কুলের থেকে পৃথকভাবে ইলমা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের সৎ চরিত্র ও আদর্শবান তৈরী করার কাজে ব্রতী। বিগত পাঁচ বছরে, ইলমা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল বিশ্বাস, শ্রেষ্ঠত্ব এবং উদ্ভাবনের সাফল্যের গল্প রচনা করেছে এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছে। আজও ইলমা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল তার প্রতিষ্ঠার নিবেদিত পরিষেবার সাক্ষ্য হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটিকে একটি নাম হিসেবে গণ্য করার জন্য দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে। ইলমা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল জ্ঞান ও তথ্যের জন্য ক্রমাগত অনুসন্ধানের মূলমন্ত্র হিসাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে এবং মানব জাতিকে নিঃস্বার্থভাবে সেবা করার জন্য এগিয়ে চলেছে। জ্ঞানের অন্বেষণ এর প্রয়োগ এবং প্রসারে সহায়তা করার জন্য দক্ষতার উপর প্রচুর জোর দিয়ে ইলমা আকাডেমিক দর্শন অধ্যবসায়ের সাথে বিকশিত প্রাণ। ছড়িয়ে পড়া জ্ঞান অনুসন্ধান, গবেষণা এবং গুণমানের চেতনাকে মুক্ত করে। তাদের অনুসন্ধান অবিরাম, সেবা অবিরাম, অধ্যবসায় অক্লান্ত। সঠিক জ্ঞান-প্রদান, প্রজ্ঞাবৃদ্ধি এবং স্বতন্ত্র ব্যক্তি তৈরি করাই ইলমার সাধনা।
ইলমা নিজেকে শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গর্বিত করে যা জীবনের সর্বশেষ জ্ঞান প্রদান করে এবং মানবিক মূল্যবোধকেও উদ্বুদ্ধ করে।
ইলমা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল হল সবচেয়ে উপযুক্ত সময়ে ইলম চ্যারিটেবল অ্যান্ড এডুকেশনাল ট্রাস্ট কর্তৃক গৃহীত একটি নতুন উদ্যোগ। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের অধীনে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠায় ইলমা চ্যারিটেবল অ্যান্ড এডুকেশনাল ট্রাস্টের চ্যানেলাইজড প্রচেষ্টা হল প্রতিটি শিশুকে একজন দায়িত্বশীল মানুষ এবং সেরা উম্মাতে রূপান্তরিত করা। প্রতিটি শিশুর মনে একটা সুন্দর স্ফুলিঙ্গ আছে। ইলমা বিশ্বাস করে যে এই স্ফুলিঙ্গটিকে একটি উজ্জ্বলতায় রূপান্তরিত করতে হবে যা শুধু শিশুর জন্য নয়, সমাজের জন্যও উপকারী।
শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে প্রতিটা শিক্ষার্থী সকল দিক বিকাশ করবে যা তার প্রয়োজনের সাথে প্রাসঙ্গিক যা তাকে জীবনের জন্য প্রস্তুত করবে এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করবে। শিশুরা আজ বাস্তব বিজ্ঞানে বিজ্ঞানীরা যা করছে তার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। ভালো গবেষণামূলক গল্প, আকর্ষণীয় কার্যকলাপ শিক্ষার্থীদের কল্পনাকে ক্যাপচার করে এবং তাদের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি কোণে সৃজনশীল ভাবে অনুমতি দেয়। এখানে ইংরেজি, বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিষয়গুলির সাথে প্রকাশনার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ লেখক, পাঠ্যক্রম উপদেষ্টা এবং বিশ্ব বিশেষজ্ঞদের একটি আন্তর্জাতিক দল দ্বারা একটি বিপ্লবী নতুন শ্রেণিকক্ষ ম্যাগাজিনের নিবন্ধ গুলিকে এনগেজ লার্নিং একত্রিত করে। ইলমা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের লক্ষ্য হল, জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো জন্ম থেকে ছয় বছর বয়স পর্যন্ত যেখানে বেশিরভাগ শিক্ষা ঘটে। জ্ঞানের রূপের কোন সীমা নেই।
প্রতিটি শিক্ষার্থীদের সেমিনার, ভিজ্যুয়াল লার্নিং এবং প্রকল্পের কাজের জন্য কঠোরভাবে এক্সপোজার দেয়। ইলমা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষাদান প্রক্রিয়া প্রতিটি শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভিন্ন সম্ভাবনাকে সংগ্রহ ও কাজে লাগাতে সাহায্য করে। লক্ষ্য হল তাদের কর্মক্ষমতা প্রচার করা ও তীব্রতর করা এবং শিক্ষার্থীদের সকল ক্ষেত্রে অগ্রগামী হতে উৎসাহিত করা। শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজি, প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় ভাষা শেখা। দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা তাদের দ্বিতীয় ভাষা। পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি তৃতীয় ভাষা। এছাড়াও কম্পিউটার ল্যাব, লাইব্রেরী, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, ফিল্ড ট্রিপ, শিল্প ও কারুশিল্প, খেলাধুলা, কুরআন তেলাওয়াত ছাড়াও বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
এই ইলমা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের এক অদ্ভুত বিশেষত্ব হচ্ছে স্কুলের পরিচালক আটজন সদস্য
অর্থাৎ ট্রাস্টের সম্পাদক হাসিবুর রহমান সরদার, সভাপতি সাফিক মন্ডল, কোষাধ্যক্ষ মোমিন আলি গাজী, সদস্য শেখ জাহির আব্বাস, আবুল ফারাহ, আশিক ইকবাল, ইয়াসিন শেখ, আরিফুল হাসান প্রমুখ। এবং ইলমা স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রাকিবুল হক। পরিচালকগণের উদ্দেশ্য এই ইলমা স্কুলের ও ছাত্রছাত্রীদের খেদমতে সমস্ত উপার্জন স্কুলের কাজেই ব্যবহার করেন। স্কুল থেকে সংগ্রহ উপার্জন তাদের মধ্যে থেকে কেউই নিজ পকেটে ভরেন না স্কুলের উন্নতিতে ব্যবহার করেন। তবে পরিচালক সদস্যরা প্রত্যেকেই নিজ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে তারা জড়িত। তাই তারা আর্থিকভাবে কোন অসুবিধায় পড়েন না। স্কুলের উপার্জন স্কুলের খিদমতেই দান করে দেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct