আপনজন ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার ক্রীড়া ও চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সমালোচনা করে দাবি করেছেন যে তারা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নীরব থেকেছেন। মনমোহন সিংকে ভারতের অন্যতম “সর্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক” হিসাবে বর্ণনা করে তিনি দাবি করেন, ক্রীড়া ও চলচ্চিত্র জগতের “সম্পূর্ণ নীরবতা” সরকারের প্রতিক্রিয়ার ভয় থেকে উদ্ভূত হতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ অভিষেক লিখেছেন, ‘স্পোর্টস এবং ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ নীরবতা দেখা একই সাথে হতবাক এবং হতাশাজনক - ব্যক্তিরা যারা প্রায়শই ‘রোল মডেল’ হিসাবে পরিচিত।’ 

তিনি আরও লেখেন, ড. সিংয়ের মৃত্যু স্বীকার করতেও তাদের অনীহা তাদের অগ্রাধিকার, দায়িত্ব এবং সততা সম্পর্কে অস্বস্তিকর প্রশ্ন উত্থাপন করে। মনে হচ্ছে এই নীরবতা সরকারের প্রতিক্রিয়ার ভয় দ্বারা চালিত হয়েছে, কারণ জাতীয় ইস্যুতে নীরব থাকা এই তথাকথিত ‘আইকন’গুলির অনেকের জন্য আদর্শ হয়ে উঠেছে।;

শনিবার নয়াদিল্লিতে দেশ-বিদেশের শীর্ষ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ৯২ বছর বয়সি মনমোহন সিং-এর।

এই ধরনের উদাসীনতা নতুন নয় বলে দাবি করে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলেন, কৃষক বিক্ষোভ, সিএএ-এনআরসি আন্দোলন এবং মণিপুরের চলমান সঙ্কটের সময় এই একই ব্যক্তিরা নীরব ছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, এই জাতীয় সমালোচনামূলক ইস্যুগুলির মুখে তাদের “নীরবতা” সাধারণ নাগরিকদের সংগ্রাম থেকে একটি উদ্বেগজনক বিচ্ছিন্নতা তুলে ধরে।

ডায়মন্ড হারবারের এই সাংসদ এক্স-এর পোস্টে বলেন, তারা জনসাধারণের প্রশংসা কাজে লাগিয়ে তাদের সম্পদ এবং খ্যাতি তৈরি করেছে, তবুও যখন জাতির তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তখন তারা এমনকি ক্ষুদ্রতম নৈতিক অবস্থান নিতে লজ্জা পায়।

কাকে রোল মডেল হিসাবে দেখা যেতে পারে তা পুনর্বিবেচনা করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা সাহস ও জবাবদিহিতার চেয়ে তাদের ক্যারিয়ার এবং স্বাচ্ছন্দ্যকে অগ্রাধিকার দেয় তাদের গৌরবান্বিত করা বন্ধ করা উচিত। বরং আসুন আমরা তাঁদের সম্মান ও সমর্থন করি যাঁরা সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশ ও সমাজের জন্য অবদান রাখছেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধা, সৈনিক এবং ব্যক্তি যাঁরা বৃহত্তর কল্যাণে আত্মত্যাগ করেন।

তিনি আরও বলেন, ১৪০ কোটি ভারতবাসীর শক্তি অপরিসীম। আমরা যাদের আইকন হিসেবে গড়ে তুলি তাদের কাছ থেকে সততা ও জবাবদিহিতা দাবি করার সময় এসেছে। এই নতুন বছর ২০২৫ আমাদের সম্মিলিত চেতনায় একটি পরিবর্তন চিহ্নিত করুক - ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র এবং জাতির কল্যাণের জন্য যারা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে তাদের মূল্যায়ন করার দিকে।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক আরবি ভাষা দিবস উদযাপন

জল চুরি! টাকা ফেললেই মিলে যাচ্ছে সংযোগ

২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি গুগল করা দলের দুটিই মেসির