দেবাশীষ পাল ও নাজমুস শাহাদত, মালদা, আপনজন: পেটের টানে আবারো ভিন রাজ্যে গিয়ে মৃত্যু তিন শ্রমিকের। টাওয়ার উল্টে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত মালদা জেলার ইংরেজবাজার ব্লকের তিন পরিযায়ী শ্রমিক। উল্লেখ্য ১৫-১৬ দিন আগে মালদার ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতি অঞ্চলের আজমির মমিন বয়স ২৬ বছর, এবং সিন্টু শেখ বয়স ৩২বছর এবং অপর পরিযায়ী শ্রমিক শেখ মোবারক ফুলবাড়িয়া অঞ্চলের নঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা, তারা ঋণের বোঝা ও পরিবারের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য মধ্যপ্রদেশে টাওয়ারের কাজে যায়।কিন্তু সেই মনের আশা মনেই রয়ে গেল, কফিন বন্দী হয়ে এইভাবে তাদের নিথর দেহ গ্রামে ফিরবে কেউই ভাবতে পারেনি।২৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ খবর আসে, টাওয়ার উল্টে মারা গেছে তিন পরিযায়ী শ্রমিক। তাদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে তিন পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ শনিবার রবিবার আসার সম্ভবনা।।তাদের মৃত্যুতে ইংলিশ বাজার ব্লকের তিন গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।জানা গেছে মৃত পরিযায়ী শ্রমিক আজমির মমিনের পরিবার রয়েছে মা, বাবা, স্ত্রী মিনি বিবি ও দুই সন্তান।প্রথম পুত্র নাম আহিদ মোমিন বয়স ৯বছর এবং দ্বিতীয় পুত্র শহীদ মনিন বয়স ৭বছর । দুই পুত্রই দ্বিতীয় পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারে রয়েছে স্ত্রী আসমিন বিবি, তিন পুত্র যথাক্রমে ইরফান শেখ ,নুর আলম শেখ ,ওমান শেখ তার মধ্যে নুর আলম শেখ ও ওসমান শেখ ইস্কুল পড়ুয়া। তৃতীয় পরিযায়ী শ্রমিক শেখ মোবারক,বয়স প্রায় ৩৫ বছর , তার পরিবারেও রয়েছে দুই সন্তান। পরিবার গুলোর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আর্জি,যেন তাদের পরিবারগুলিকে সরকার আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেও ছেলেমেয়েদের পড়ার জন্য একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ জুয়েল রহমান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের মধ্যে আজমির মমিন ও সিন্টু শেখ আমার এলাকার এলাকার শ্রমিক। পরিবার দুটির যেকোনো ধরনের সহযোগিতার ব্যাপারে প্রস্তুত আছি।
এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান সাংসদ সামিরুল ইসলাম ‘আপনজন’কে বলেন, প্রথম থেকেই আমরা তাদের পাশে আছি এবং মৃতদেহ নিয়ে আসা থেকে শুরে করে তাদের পরিবারের পাশেও আমরা রয়েছি। রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিয়ায়ী শ্রমিকের লাশ তিনটি বাড়ি আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct