আপনজন ডেস্ক: কাজখস্তানের আকতাউয়ে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৩৮ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ৩২ যাত্রী। তবে ধারণা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কাজাখস্তান সরকার জানায়, কাসপিয়ান সাগরের পূর্ব উপকূলে যাত্রীবাহী বিমান ভেঙে পড়ার পর যে আগুন লেগেছিল, দমকলকর্মীরা তা নিয়ন্ত্রণে আনে। তার পর বিমানের মধ্যে থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। তিন জন শিশুও উদ্ধারের তালিকায় রয়েছে। তবে যে ৩২ জনকে বিমান দুর্ঘটনার পর উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের সবার অবস্থাই অত্যন্ত সঙ্কটজনক।
প্রাথমিকভাবে কাজাখস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি করে, বিমানটি সম্ভবত মাঝআকাশে পাখির সঙ্গে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জরুরি অবস্থায় অবতরণ করতে চেয়েছিলেন পাইলট। তবে তার আগেই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়।
এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে দুর্ঘটনার ঠিক আগের এবং পরের মুহূর্তের ভিডিও। এক যাত্রীই প্রায় দেড় মিনিটের এই ভিডিওটি রেকর্ড করেন। ভিডিওর দেখা যাচ্ছে, আতঙ্কিত যাত্রীরা বাঁচার জন্য প্রার্থনা করছেন। ঝাঁকুনির জেরে অনেকেই আসন থেকে পড়ে গিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম ‘আরটি’র একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কয়েক জন যাত্রীর মাথা থেকে রক্ত ঝরছে। কেউ কেউ বিমান থেকে নামার জন্য চিৎকার করছেন, কেউ করছেন বাঁচার জন্য প্রার্থনা।
কেন বিমান বিধ্বস্ত হলো?
আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনি যাওয়ার পথে বিমানটি কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয়। ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকায় বিমানটি বিধ্বস্তের আগে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করছিল।
আজারবাইজান এয়ারলাইন্স জানায়, কাস্পিয়ান সাগরের পূর্ব তীরে আকতাউ শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে বিমান দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে পাখির কথা বলা হয়। পরে অবশ্য বিমান সংস্থাটি জানায়, তারা এই মুহূর্তে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানাবে না। ফ্লাইট রাডারে দেখা গেছে, বিমানটির যে পথে যাওয়ার কথা ছিল, এটি কাস্পিয়ান সাগর অতিক্রম করার সময় সে পথে না গিয়ে অন্য পথে গেছে। এছাড়া যে স্থানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে কয়েকবার চক্কর খায় এটি। এরপর মাটিতে আছড়ে পড়ে। এর সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct