আপনজন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, তিনি ৩০ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালিতে একটি গণবণ্টন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে জমি দখল ও মহিলাদের যৌন হেনস্থার অভিযোগে চলতি বছরের গোড়ায় এই এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ হওয়ার পর এটাই হবে সুন্দরবনের সীমান্তে অবস্থিত এই দ্বীপে তাঁর প্রথম সফর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্য সচিবালয় নবান্নে চলতি ক্যালেন্ডার বছরের জন্য মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠকের শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নির্ধারিত সন্দেশখালি সফরের কথা জানান। এ নিয়ে মমতা বলেন, আমি ৩০ ডিসেম্বর সন্দেশখালি যাব গণবন্টন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করতে। নির্বাচনের আগে জনগণ আমাকে প্রশ্ন করেছিল আমি সন্দেশখালি যাব কি যাব না। আমি তাকে বলেছিলাম আমি পরে যাব’। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটা হবে সরকারি কর্মসূচি। আমরা ‘লক্ষ্মী ভান্ডার’, ‘বাংলার বাড়ি’ এবং অন্যান্য প্রকল্পের অধীনে অনেকগুলি অমীমাংসিত কর্মসূচি সম্পন্ন করেছি। এলাকার প্রায় ২০০০০ সুবিধাভোগী বিভিন্ন রাজ্য-চালিত প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে। আমি আশা করি মঞ্চ থেকে প্রায় ১০০ জনের হাতে বিভিন্ন প্রকল্পের শংসাপত্র তুলে দেব।
যৌন হেনস্থা ও জমি দখলের বিরুদ্ধে স্থানীয় মহিলাদের বিক্ষোভের জেরে চলতি বছরের গোড়ায় সন্দেশখালিতে হিংসার সাক্ষী থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী কেন সন্দেশখালি সফর এড়িয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল-সহ বিভিন্ন মহল থেকে সন্দেহ উঠেছিল।তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ৩০ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর সন্দেশখালি সফর তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ সেদিন সেখান থেকে তিনি কোনও গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং ঘোষণা করেছেন যে ১ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ছুটি থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২ জানুয়ারি নবান্ন হলে প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। সমস্ত বিভাগীয় কাজ পর্যালোচনা করা হবে। ৬ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরে যাব। আমি প্রথমে ভারত সেবা আশ্রম এবং পরে কপিলমুনি আশ্রম পরিদর্শন করব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct