সঞ্জীব মল্লিক , বাঁকুড়া, আপনজন: বাড়ির কাছ দিয়েই বয়ে গেছে নদী, তার সত্ত্বেওও বালির চড়া দাম। কিভাবে তৈরি হবে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের বাড়ি, রাতের ঘুম উড়েছে গ্রাহকদের। স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং গ্রামবাসীদের ডেপুটেশন বিডিওর কাছে, শুরু শাসকবিরোধী তরজা ।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একক প্রচেষ্টা ইতিমধ্যেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকতে শুরু করেছে গ্রাহকদের একাউন্টে। বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের প্রায় অধিকাংশ গ্রাহকের একাউন্টে ঢুকেছে টাকা। টাকা হাতে পেয়েও বাড়ি তৈরি করতে পারছে না অনেক গ্রাহক। সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বালির আকাশছোঁয়া দাম। বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নদী তার সত্বেও সাধারণ মানুষকে বালি কিনতে হচ্ছে ১০০ সেফটি ৩৫০০০ টাকা দিয়ে। এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসায়ীদের দাবি পাশের অন্যান্য ব্লকে যেখানে ১০০ সেফটি বালির দাম ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা। সেখানে দাঁড়িয়ে সোনামুখী ব্লকে ১০০ সেফটি বালির দাম ৩৫০০০ টাকা। যদিও সপ্তাহ দুয়েক আগেই এই বালির দাম ছিল ৪০০০ টাকা। গত দশে ডিসেম্বর এলাকার বালি সম্পর্কিত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষরা মিলে মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে, জেলা শাসকের দরবারে, ভূমি দপ্তরের দরবারে বিষয়টি লিখিত আকারে জানান। তারপরে বালির দাম কমে মাত্র ৫০০ টাকা। তাতেও ন্যায্য মূল্য থেকে কয়েক গুণ বেশি। যে কারণেই দিন এলাকার সাধারণ মানুষ বালি সম্পর্কিত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা একটি মিছিল সহযোগে সোনামুখী বিডিও অফিসে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেন বালির বাজার দর নিয়ন্ত্রণের জন্য।
বাড়ি প্রাপকরা জানান , অন্যান্য সামগ্রীর পাশাপাশি বালির দাম অত্যন্ত বেশি । তাই বালির দাম যদি কমানো হয় তাহলে বাড়ি তৈরি করার ক্ষেত্রে আমাদের ভিশন সুবিধা হবে ।
সোনামুখী ব্লক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি ও জনগণের কমিটির সম্পাদক তন্ময় অধিকারী জানান , বালির দাম অত্যন্ত চড়া সাধারণ মানুষরা বালি কিনে বাড়ি তৈরি করতে পারবেন না । তাই বিডিওর কাছে ডেপুটেশন দিলাম যাতে করে বালির দাম কমানো হয় ।
যদিও এ বিষয়ে ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে সোনামুখী ব্লকের বিডিও কিছু বলতে রাজি হয়নি । তবে মৌখিকভাবে তিনি জানান , পুরো বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবে ।
পাশাপাশি সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কইমুদ্দিন হাজারী বলেন , এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তর দেখে থাকে এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।
আর এই নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির । সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী জানান , অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে টাকা পৌঁছে দিতে হচ্ছে তাই সাধারণ গরিব মানুষদের বেশি দাম দিয়ে বালি কিনতে হচ্ছে ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct