সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং, আপনজন: জেদ অনেক সময় মৃত্যুর সম্মুখীন হয়। তবে জেদ করার জন্য সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে প্রাণে বাঁচলো নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী। এমন হাড়হিম করা ঘটনা ঘটেছে ক্যানিংয়ে। নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর এমন কর্মকান্ডকে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, ক্যানিং থানার অন্তর্গত দিঘীরপাড় পঞ্চায়েতের কালিমন্দির সংলগ্ন অশ্বথ্থতলা এলাকার বাসিন্দা দম্পতি কার্তিক ও উর্মিলা নস্কর। দম্পতির একমাত্র মেয়ে সোনালি নস্কর স্থানীয় উচ্চমাধ্যমিক হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। বুধবার রাতে তার হাতে একটি বিষধর সাপ কামড় দেয়।পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। তড়িঘড়ি সাতমুখী বাজার সংলগ্ন খোলাখালি গ্রামে এক ওঝার কাছে নিয়ে যায়। সোনালি নিজে থেকে হাসপাতালে যেতে চাইলেও জোর করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ওঝার কাছে। অভিযোগ সেখানে তার ক্ষতস্থান সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে কাটা হয়। চলে ঝাড়ফুঁক। ওঝার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া সত্বেও ওই ছাত্রী জেদ করে বসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ওঝা তবু ঝাঁড়ফুঁক চালিয়ে যান। দীর্ঘক্ষণ এমন কান্ড চলায় ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ওই ছাত্রীর জেদ এবং তার কথামতো পরিবারের লোকজন তাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই ছাত্রী। জেদের জন্য প্রাণে বাঁচলেন স্বীকার করেছেন ছাত্রীর দিদিমা। ওই ছাত্রীর দিদিমা সারথী সরদার জানিয়েছেন, ‘প্রথম দিকে ওর কথা কেউই শোনেনি। শেষপর্যন্ত ওর জেদই ওকে প্রাণে বাঁচিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct