রঙ্গীলা খাতুন, কান্দি, আপনজন: মুর্শিদাবাদ জেলার মিষ্টি পাশাপাশি কেক তৈরি রমরমা মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এখন বড় দিনের কেক তৈরির জন্য চুড়ান্ত ব্যস্ততা কান্দি, বহরমপুর রাধারঘাটে । সমগ্র জেলা বাসির চাহিদা আগ্রহ মতো কেকের অর্ডার নিয়ে দিন রাত তৈরি করা হচ্ছে এই কেক। পাইকারি অর্ডার নিয়ে এই বছর অন্যান্য বছর থেকে বেশি ব্যাবসা হচ্ছে বলে দাবি বিক্রেতাদের তাই ছোট থেকে বড় সকলেই ফলে এই কেকের চাহিদা এখন তুঙ্গে।
বড় দিনে সেজে উঠেছে শহরের সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল। কান্দি, জীবন্তিতে জমে উঠেছে কেকের পসরা। বড় দিন মানেই মুখ মিষ্টি কেক। নামী দামী কোম্পানির কেকের দোকান থেকে শুরু করে পাড়ার মোড়ে মোড়ে স্থায়ী-অস্থায়ী দোকানে এখন রঙিন কেকের পসরা। এবছর কেকের রকমারি আছে বেশ। কেকের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে পুতুল, আবার তৈরি করা হয়েছে সান্তাক্লজ। তবে জোর কদমে চলছে এখন নাওয়া খাওয়া ভুলে কেক তৈরির কাজ।
স্নাক্স বেকারি কেকের কারখানা মালিক সঞ্জয় সাহা জানান, “এবছর মার্কেটের চাহিদা বেশি। ব্যস্ততার সঙ্গে কাজ চলছে। আমাদের কারিগররা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছে । এবছর নলেন গুড়ের কেক থেকে মোয়ার কেক আছে। প্রায় ১৫ রকমের নানান কেক তৈরি করা হয়ে থাকে। আমাদের কেক নদীয়া জেলা সহ গোটা মুর্শিদাবাদ জেলার সমস্ত জায়গায় যায়। চাহিদাও বেশ ভালো। “
বহরমপুর শহরে পাশাপাশি কান্দির বিভিন্ন এলাকায় কেকের চাহিদাও অনেকটাই বেশি। “জীবন্তি লাল চা কেকের স্টটলের” মালিক জসীমউদ্দীন বলেন “স্থানীয় কেক থেকে শুরু করে নামীদামি কোম্পানির ছানা, মোয়া, এমনকি নলেন গুড়েরসহ একাধিক ভ্যারাইটিজ কেক পাওয়া যায় তাই দূর দূরান্তের ক্রেতা এখানে কেক কিনতে আসেন। “
স্থানীয় বেকারির তৈরি কেকের চাহিদা বাড়ায় খুশি বেকারি মালিকরা। বহরমপুরের রাধারঘাট বেকারি জানান,’বড়দিনের জন্য এখন পর্যন্ত ৮ হাজার পাউন্ড কেক বিক্রি হয়েছে। এ বছর চাহিদা ইকটু বেশি থাকায় ফের নতুন করে কেক বানাতে হচ্ছে।’’ আর এক বেকারি কারবারী নিল মাধব দাস বলেন- ‘’আমাদের ভরসা গ্রামের নিম্নবিত্ত মানুষ। যাদের ১০০ টাকা বা ২০০ টাকা দিয়ে চকচকে মোড়কের ২০০ গ্রাম কেক কেনার ক্ষমতা নেই। এখনও ৪০ বা ৫০ টাকায় তিনশো বা সাড়ে তিনশো গ্রাম ওজনের কেক শুধু বেকারিই দিতে পারে।” ফলে বড় দিন উপলক্ষ্যে ব্যবসা বাড়ায় মুখে চওড়া হাসি মুর্শিদাবাদের স্থানীয় বেকারিদের।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct