আপনজন ডেস্ক: কেন্দ্রের কাছ থেকে পরপর তিন আর্থিক বছর মহাত্মা গান্ধি ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিম ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে টাকা না পাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখন আশঙ্কা করছে, আগামী আর্থিক বছরেও এই সব প্রকল্পে বরাদ্দ করা হবে না। কারণ কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের প্রকল্পের কার্যনির্বাহী কমিটি পশ্চিমবঙ্গকে কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প বা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য দাবিপত্র জমা দিতে বলেনি। রাজ্য সরকারের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক এক ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সাধারণত, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের এক্সিকিউটিভ কমিটিগুলি রাজ্য সরকারগুলিকে ডিসেম্বরের মধ্যে পরবর্তী আর্থিক বছরের জন্য তাদের বিস্তারিত দাবিপত্র জমা দিতে বলে এবং তারপরে তারা রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শ করে এবং পরবর্তী আর্থিক বছরের জন্য বরাদ্দ চূড়ান্ত করে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং মনরেগার এক্সিকিউটিভ কমিটি প্রতিটি রাজ্যকে ডেকেছে এবং তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ কোনও ডাক পায়নি। তিনি আরও বলেন, আমরা ইতিমধ্যে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করেছি এবং রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে এই দুটি প্রকল্পের জন্য তাদের নিজস্ব থেকে অর্থ বিতরণ শুরু করেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের দাবি শুনতে রাজি নয়। তাই আমরা আশঙ্কা করছি, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষেও কেন্দ্র মনরেগা এবং অাবাস যোজনার জন্য টাকা দেবে না।
রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রের অভিযোগ, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার মনরেগা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে।
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ২০২১-২২ আর্থিক বছরে মনরেগায় আমাদের ৭,০০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এরপর কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের মধ্যে টাকা বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল হারিয়েছি। অর্থাৎ, মোট ৩০ হাজার কোটি টাকা। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাক-বাজেট বৈঠকে ১,৭১,০০০ কোটি টাকা জমা দিয়েছি এবং আমাদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। আমরা বলেছিলাম কেন্দ্র ২৭টি দল এবং ৪৯টি আর্থিক দল (অভিযোগ তদন্তের জন্য) পাঠিয়েছিল এবং তারা কিছুই খুঁজে পায়নি। তার পরেও কেন কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের রাজ্যকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিল? রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, একাধিক জাতীয় দল এখানে ত্রুটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও বেআইনি ও অযৌক্তিক বঞ্চনার শিকার হচ্ছে বাংলা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct