X
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪,
বুধবার১৮:১৫
তানজিমা পারভিন, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের টাল এলাকা ইসলামপুর, সাদলীচক ও দৌলতনগর অঞ্চলে বেড়েছে সরিষার চাষ। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ঢেকে গেছে সরিষা ফুলের হলুদ চাদরে। যে দিকে তাকানো যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। এ যেন রুপ কথার হলুদের এক বিশাল রাজ্য। দৃষ্টি নন্দন হলুদ সরিষার এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে অনেক দর্শনার্থীদের পদচারণা এখন সরিষা ক্ষেতে। আবার কেউ মোবাইলে তুলছেন সেলফি। সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে মৌমাছির পাশাপাশি ব্যস্ত সময় পার করছেন মধু চাষীরাও।
তুলনামূলক কম খরচ আর অল্প সময়ে উৎপাদন করা উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা চাষে ঝুঁকছেন এখানকার চাষিরা। তবে মাঠে ফসল সেচের জন্য বিদুৎতিক ও সোলার পাম্পের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় সংকটে পড়েছে চাষিরা। সোলার পাম্পের দাবি জানিয়েছেন চাষীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টাল এলাকা হওয়ায় মাটি যথেষ্ট উর্বর। তিন ফসলী জমিতে ভালো ফসল উৎপাদন হয়। তবে সেচের ব্যবস্থা না থাকায় ডিজেল চালিত পাম্প চালিয়ে সেচ করতে হয় চাষিদের। এতে খরচ হয় যথেষ্ট পরিমাণ। ইসলামপুর অঞ্চলের চাষি আশরাফুল হক বলেন, এবছর আমি এক একর জমিতে সরষে চাষ করেছি। গাছ ভালো হয়েছে। ভালো ফলন পাওয়ার আশা রয়েছে। চাষিরা সরকারি সহায়তা কিছুই পাই না। মাঠে বিদ্যুতের বা সোলার পাম্পের ব্যবস্থা করে দিলে চাষিরা যথেষ্ট উপকৃত হবে। এবং চাষবাসে আগ্রহ বাড়বে। নাজিমুল হক নামের অপর এক চাষি বলেন, সরিষার এবার ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মূলত এটি একটা বাড়তি ফসল হিসেবে আমরা চাষ করি। এক বিঘা জমিতে ৪-৫ মণ সরিষা হয়ে থাকে। শুকনো সরিষা ৫-৬ হাজার কুইন্টাল ধরে বিক্রি হয়ে থাকে। মাঠে সেচের ব্যবস্থা হলে চাষিরা ফসল চাষে আরও উৎসাহিত হবে। জেলা পরিষদের কৃষি সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম বলেন,
উন্নতমানের ফসল চাষের জন্য কৃষকদের নিয়ে শিবির করে ট্রেনিং দেওয়া হয়। এবছর ওই এলাকায় ৩ হাজার একর জমিতে সরষে চাষ হয়েছে। তবে এলাকার চাষিরা সেচের সমস্যা জানিয়েছে আমায়।
সরকারিভাবে সেচ দপ্তর থেকে সোলার পাম্প বসানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ছয়জন চাষি মিলে নিদির্ষ্ট প্রক্রিয়ায় সেচ দপ্তরের সোলার পাম্পের জন্য আবেদন করলে কৃষি দপ্তর সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করে সোলার পাম্প বসানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। চাঁচল সাব ডিভিশনের এগ্রিকালচার ইরিগেশনের এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার করুনা চন্দ্র সরকার বলেন, সারা বছর ধরে সোলার পাম্পের জন্য আবেদন করা যায়। ছয়জন চাষি মিলে একসঙ্গে আবেদন করার নিয়ম রয়েছে। তদন্ত করে আবেদনটি বিবেচনা করে দেখা হয়।
