আপনজন ডেস্ক: গোষ্ঠীগত অন্তর্দ্বন্দ্বে হাইতির সিটি সোলেইলে অন্তত ২০৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সোমবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
হাইতির রাজধানী পোর্ট-ও-প্রিন্সের ওই সিটিতে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের জন্য কুখ্যাত বেশ কয়েক বছর ধরেই।
এর আগে জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ছিল ১৮৭ জন। পোর্ট-ও-প্রিন্সের বন্দরের নিকটবর্তী ওই সিটিতে এক সপ্তাহ ধরে চলে খুনোখুনি ও মারামারি।
হোয়ার্ফ জেরেমি গোষ্ঠীর প্রায় তিনশ’ সদস্য মিলে অন্তত ১৩৪ জন পুরুষ, ৭৩ জন নারীকে হত্যা করে বলে বলা হয় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিবেদনে। নিহত ব্যক্তিদের অনেকেই বয়স্ক নাগরিক, যাদের বিরুদ্ধে তুকতাক জাদু করার অভিযোগও রয়েছে।
হোয়ার্ফ জেরেমি গ্যাংয়ের নেতা মোনেল ‘মিকানো’ ফেলিক্স এই হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। তার সন্তান অসুস্থ হলে তিনি বলেন যে, এই অসুস্থতা হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের ‘ভুডু’ জাদুর কারণে।
ক্যারিবীয় এই দেশটিতে চরম খাদ্য সংকটের সাথে সাথে রয়েছে অপরাধী গোষ্ঠী বা বিভিন্ন গ্যাংয়ের সক্রিয়তা। হাইতির প্রতিবেশী দেশগুলো হাইতিকে নিরাপত্তা সহায়তা দেবার কথা বললেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। সাম্প্রতিক এই হত্যাযজ্ঞে স্তব্ধ গোটা ক্যারিবীয় অঞ্চল।
জাতিসংঘের মতে, গত ১৫ বছর ধরে হাইতির একাধিক বন্দর, বন্দর সংলগ্ন এলাকায় গুদাম ও জাতীয় সড়ক অঞ্চলগুলো মিকানোর গ্যাংয়ের দখলে রয়েছে।
হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর গ্যাংয়ের সদস্যরা মোবাইল ফোন হাতিয়ে, লাশ পুড়িয়ে সেই দেহাবশেষ সাগরে ফেলে সকল প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করে।
জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত হাইতিতে পাঁচ হাজার তিনশ’ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ২০২২ সালের শুরু থেকে এই সংখ্যা ১২ হাজারে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। দেশের ভেতরেই উদ্বাস্ত হয়ে পড়েছেন সাত লাখেরও বেশি মানুষ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct