আপনজন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রকে ‘যুদ্ধ-আসক্ত’ উল্লেখ করে দেশটিকে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার সবচেয়ে বড় ধ্বংসকারী বলে কটাক্ষ করেছে চীন। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিতে পরিণত হয়েছে। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনের বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য তৈরি এবং জনগণকে ভুল ধারণা দিয়ে প্রতারণার জন্য বাস্তবতাকে বিকৃত করার অভিযোগও করেছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝ্যাং জিয়াওগাং বলেন, এই সপ্তাহে প্রকাশিত মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রতিবেদনে চীনের প্রতিরক্ষা নীতির ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তারা সামরিক সক্ষমতা সম্পর্কে অনুমান করছে, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গর্ব করছে এবং তথাকথিত চীনা হুমকিকে অতিরঞ্জিত করার জন্য বেইজিংকে ‘মরিয়া অপবাদ’ দিচ্ছে। ঝ্যাং বলেন, যুদ্ধ-আসক্ত যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার সবচেয়ে বড় ধ্বংসকারী এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিতে পরিণত হয়েছে। বেইজিং পেন্টাগনের ১৮২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের বিষয়বস্তুর ‘তীব্র নিন্দা ও দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা’ করেছে। ঝ্যাং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কেবল তার নিজস্ব সামরিক সক্ষমতা উন্নয়নের অজুহাত খুঁজছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন ও জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি মেনে চলে। একই সঙ্গে একটি বৃহৎ শক্তির কাছ থেকে প্রত্যাশিত আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালন করে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র একতরফা আধিপত্য বজায় রাখতে তার সামরিক শক্তি ব্যবহার করে এবং জোরপূর্বক ‘শাসন পরিবর্তন’ প্রচার করতে এবং ‘রঙিন বিপ্লব’ উস্কে দেওয়ার জন্য প্রায়শই চরম চাপ প্রয়োগ করে। তিনি ইরাক, আফগানিস্তান ও সিরিয়ায় ‘অবৈধ যুদ্ধ ও সামরিক তৎপরতার’ উদাহরণ তুলে ধরেন। যে সামরিক তৎপরতার ফলে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক হতাহত এবং ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। এ সময় মার্কিন ‘পারমাণবিক আগ্রাসন’ নিয়েও কথা বলেন চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তিনি বলেন, আমরা ‘আত্মরক্ষার পারমাণবিক কৌশল’ এবং ‘প্রথমে ব্যবহার না করার’ নীতি মেনে চলছি। এদিকে ওয়াশিংটনের পারমাণবিক নীতি - অস্ট্রেলিয়ার সাথে আকুস সাবমেরিন সহযোগিতা, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক বিস্তার রোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শান্তি-স্থিতিশীলতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct