মোস্তাফিজুর রহমান, কেরল, আপনজন: মহামেডান-০। কেরালা-৩(ভাস্কর-আত্মঘাতী,নোয়া,কোয়েফ)।
মারণ রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি যদি বুঝতে পারে তার আয়ু আর বেশীদিন নেই,সেই ব্যক্তি যেমন করে মৃত্যুর প্রহর গোনে, তেমনিভাবে মহামেডান সমর্থকরাও যেন ম্যাচের আগে পরাজয়ের গ্লানি মেখে বসে থাকে।
মাঠ আর মাঠের বাইরে চরম অপেশাদারিত্বের নমুনা হয়ে উঠছে ঐতিহ্যবাহী মহামেডান।
খেলোয়াড়দের বেতন নেই,মাঠে ভালো খেলোয়াড় নেই।হারের পর হারে বিপর্যস্ত মহামেডান কর্তাদের কোনো হেলদোল আছে বলেও মনে হয় না।
অন্য দল যখন ব্যর্থতার কারণে তাদের কোচ, খেলোয়াড় অপসারণ করছে। সেখানে লিগের সবচেয়ে বাজে প্রদর্শন করা মহামেডান এখনও কোচ বদল করলো না।১২ ম্যাচে মাত্র একটা জয়, ৯ টা হার। সমর্থক বেষ্টিত ক্লাবে এখনো যে আন্দোলন করেনি সমর্থকরা,তার জন্য সমর্থকদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকতে পারেন সাদাকালো কর্তারা।
ব্যর্থতার দায়ে কোচ বরখাস্ত করা কেরালা কোচ ছাড়াই হারিয়ে দিলো মহামেডানকে।
যদিও মহামেডানকে হারানোর প্রাথমিক কাজটা করেন মহামেডানেরই গোলকিপার ভাস্কর রায়।নিরীহ বল ফিস্ট করতে গিয়ে নিজেদের গোলে ঢুকিয়ে দেন ৬২ মিনিটে। ৮০ মিনিটে মৃতপ্রায় মহামেডানের বুকের উপর চেপে বসে নোয়া ২-০ করেন।৯০ মিনিটে মহামেডানের মুখ থেকে অক্সিজেন মাস্ক খুলে নেন কোয়েফ।
ফলে লিগ টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব,কেননা আর নীচে যাওয়ার জায়গা নেই।
এদিকে মাথা খুঁড়ে মরছে অগণিত সাদাকালো ভক্ত।
সমর্থকদের আর্তনাদ কর্মকর্তা, ইনভেস্টদের কানে যাচ্ছে?
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct