আপনজন ডেস্ক: জল সরবরাহব্যবস্থা বন্ধ করে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ)। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই অভিযোগ তোলে মানবাধিকার সংস্থাটি। এ ছাড়া ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১৮৪ পৃষ্ঠার প্রকাশিত একটি নতুন প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্কভিত্তিক ওয়াচডগ বলেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যখন ইসরায়েল গাজায় তাদের সামরিক আক্রমণ শুরু করেছিল, তখন থেকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত জলর প্রবাহ বন্ধ করে দেয়।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্যপ্রাচ্যের পরিচালক লামা ফাকিহ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি, ইসরায়েলি সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে গাজায় ফিলিস্তিনিদের তাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জল বন্ধ করে দিয়ে তাদের হত্যা করছে।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ভারপ্রাপ্ত ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের পরিচালক বিল ভ্যান এসভেল্ড আলজাজিরাকে বলেছেন, সংস্থাটি ১১৫ জনেরও বেশি লোকের সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং তদন্তের অংশ হিসেবে স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কাজ করেছি এবং আমরা চারটি বিষয় খুঁজে পেয়েছি, যা থেকে আমরা বুঝতে পারছি, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় জলর সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে।’
প্রথমত, ইসরায়েল থেকে গাজায় পানীয় জল সরবরাহকারী পাইপলাইনগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর ইসরায়েল বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, যা গাজায় জলর পাম্প এবং রিজার্ভ চালু রাখতে প্রয়োজন। ফলে জলশোধন প্ল্যান্ট, জলর কূপ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্টগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে এই সুবিধাগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে সৌর প্যানেল ছিল। ভ্যান এসভেল্ড বলেন, ‘ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তখন গাজার ছয়টি বর্জ্য জল শোধনাগারের মধ্যে চারটিতে প্রবেশ করে এবং তার প্রত্যেকটি বুলডোজার দিয়ে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct