নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠুক এটাই আমাদের একান্ত কাম্য। কিন্তু আমাদের কিছু অবাঞ্ছিত মন্তব্য এই সম্পর্ক গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে উঠছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের কিছু অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেটা নিয়ে ভারতের মিডিয়া অনেক সময়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করছে যা উত্তেজনা তৈরি করছে। কলকাতায় আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এই মন্তব্য করেন অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। দলের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি এই সভার আয়োজন করে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যারা প্রতিবেশী দেশ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে উত্তেজনার পারদ চড়াচ্ছেন তারা তো মনিপুর নিয়ে কোন প্রতিবাদ করছেন না? একটা দেশের অঙ্গরাজ্যে গত দুই বছর ধরে দুটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলছে, টিভি চ্যানেলগুলিতে আলোচনা নেই কেন? তামিলনাড়ুতে পিছড়ে বর্গের মানুষের ওপর অত্যাচার চলছে। সেটা আলোচনায় আসছে না কেন? কর্ণাটকে মসজিদের ভেতর ঢুকে বিভেদকামী শক্তি শ্লোগান দিচ্ছে। মিড়িয়ায় চর্চা হচ্ছে না কেন? কেন চুনি কোটাল, রোহিত ভেমুলা আত্মহননের পথে গেলেন? কেন নাজিব আহমেদকে এখনও খুঁজে পাওয়া গেল না? এইরকম অসংখ্য ইস্যু নিয়ে তো চর্চা হচ্ছে না। নওসাদ সিদ্দিকী এদিন বলেন, কোন ধর্মীয় পরিচয় দেখে আইএসএফ প্রতিবাদে নামে না। কিন্তু বিভেদকামী শক্তি ভোট ব্যাঙ্ক কবজা করতে এই কাজ করে চলেছে। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংখ্যালঘু ও পিছড়ে বর্গের মানুষদের অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য লড়াইকে মজবুত করার সময় এসেছে।
গতকালের এই সভায় অন্যদের মধ্যে দলের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি, কার্যকারী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক, দলের সহ সভাপতি তাপস ব্যানার্জি, রাজ্য কমিটির সদস্য গাজী শাহাবুদ্দিন সিরাজী, লক্ষীকান্ত হাঁসদা, নাসিরউদ্দিন মীর, আব্দুল মালেক মোল্লা, কুতুবউদ্দিন ফাতেহি সহ মহিউদ্দিন আহমেদ (মাহি) উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) জেলা নেতৃত্ব কল্লোল মজুমদার, নাগরিকপঞ্জি বিরোধী যুক্ত মঞ্চের প্রসেনজিৎ বসু, সিপিআইএম (লিবারেশন)-এর নেতৃবৃন্দ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct