নিজস্ব প্রতিবেদক , মালদা, আপনজন: তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কথা দিয়ে কথা রাখেনি এমনই অভিযোগ মালডাঙ্গা গ্রামের মৃত মামনি রায়ের শ্বশুর ও শাশুড়ির। মালদহে বামনগোলা ব্লকের মালডাঙ্গা গ্রামে ঘটনা এক বছর আগে বেহাল রাস্তার জন্য রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল খাটিয়াই করে। এমনই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা নেট দুনিয়ায় । তারপরেই মালডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে ছিলেন মালতিপুরের বিধানসভার বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সি সহ একাধিক নেতাকর্মীরা। এলাকায় গিয়ে মৃত ওই যুবতী মামনি রায়ের পরিবারের সাথে দেখা করে ছিলেন বিধায়ক রহিম বক্সী। পরিবারের মৃত মামনি রায় এর শশুর নিশিকান্ত রায়, ও শাশুড়ি ননিবালা রায়, অভিযোগ মৃতার মামনির মেয়ের পড়াশুনার দায়িত্ব সহ বাড়ি ও রাস্তা তৈরি করে দেবার আশ্বাস দিয়ে ছিলেন। পরিবারের তরফে অভিযোগ রাস্তা তৈরি কাজ শুরু হলেও, মেলেনি ঘর ও মামনি রায়ের মেয়ের পড়াশোনা দায়িত্ব।সংসারের অভাব মেটাতে ছেলে কার্তিক রায় কে যেতে হয়েছে ভিন রাজ্যে কাজে। প্রায় এক বছর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সী । কিন্তু পরিবারে হাতে শুধু মিলেছে ১০ হাজার টাকা আর কিছুই মেলেনি, রাস্তা কাজ শুরু হলেও এখনো মেলেনি ঘর ও মামনির মেয়ের পড়াশোনার খরচ। সংসারের অভাব মেটাতে তার ছেলে কার্তিক রায়কে যেতে হয়েছে ভিন্ন রাজ্যে শ্রমিকের কাজে। প্রায় এক বছর কেটে এগিয়েছে দেখা মেলেনি কোন নেতার। গ্রামবাসীরা জানান রাস্তার কাজ শুরু হলেও মামনির মেয়ে পড়াশোনার দায়িত্ব ও তাদের ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এক বছর কেটে গেল এখনো মেলেনি। এক বছর আগে নেতাদের দেখা গিয়েছে এই মালডাঙ্গা গ্রামে। তারপরে আর দেখা মেলেনি গ্রামে। এ বিষয়ে তৃণমূলের বামনগোলা ব্লক সভাপতি অশোক সরকার জানান তার কাছে এমন কোন খবর নেই। জেলা সভাপতি রাস্তার কাজের কথা জানিয়ে ছিলেন ইতিমধ্যেই চলছে রাস্তার কাজ, তৃণমূল সরকার কথা দিয়ে কথা রাখেন। কিন্তু জেলা সভাপতি ঘর ও মেয়ের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেছেন, কিনা আমার সঠিক জানা নেই, আমি এই বিষয়টি জেলা সভাপতি রহিম বক্সী সাথে কথা বলে বিষয়টি খবর নিয়ে দেখা হবে। এই বিষয়ে বিরোধী দলের নেতারা প্রতিশ্রুতি রক্সা না করার অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct