সঞ্জীব মল্লিক , বাঁকুড়া, আপনজন: কেন্দ্রের আবাস বঞ্চনায় মেলেনি ঘর, কাঁচা মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে তিন শিশুর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীত , সন্তানহারা পিতাদের সঙ্গে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন দিল্লিতে আন্দোলনে, মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন সন্তানহারা পিতাদের আবাসের বাড়ি পাইয়ে দেবে, অবশেষে রাজ্যের একক প্রচেষ্টায় সন্তানহারা শিশুর পরিবার পেল আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা, শুরু শাসকবিরোধী রাজনৈতিক তরজা ।
২০২৩ সালের ৩০ শে সেপ্টেম্বর বিষ্ণুপুর ব্লকের বরামারা গ্রামের রোহন সর্দার, নিশা সর্দার, অঙ্কুশ সর্দার তিন শিশু উঠানে খেলা করার সময় মাটির দেয়াল চাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। পরিবার অভিযোগ ছিল আবাস যোজনা লিস্টে নাম থাকার সত্বেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার জন্য তারা বাড়ি তৈরি করতে পারেনি, বাড়ি তৈরি করতে পারলে হয়তো তাদের শিশুদের হারাতে হতো না।
দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত সন্তানদের সৎকার করেই বাড়ির জন্য টাকা চাইতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাথে দিল্লী উড়ে গিয়েছিলেন তিন হত্যভাগ্য পিতা। কিন্তু তাঁদের কাতর আর্জি শোনেনি মোদি সরকার। তবে কথা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ১২লক্ষ উপভোক্তার বাড়ির জন্য প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। এই লিস্টে নাম রয়েছে বড়ামারা গ্রামের সন্তানহারা তিন বাবা জয়দেব সর্দার, প্রশান্ত সর্দার ও চণ্ডি সর্দারের নামও। সন্তান হারানোর বেদনার মাঝেই তাঁদের মনে এক টুকরো খুশির ছোয়া প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেয়ে।
সন্তানহারাদের দাবি, আমরা সন্তানদেরকে ফিরে পাব না। আবাস তালিকায় নাম থাকা সত্বেও আমরা পাকা বাড়ি পাইনি। তা হলে হয়তো আমাদেরকে সন্তানহারা হতে হত না। মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির জন্য টাকা দিচ্ছেন। এতে আমরা খুশি।
সন্তানহারা তিন পিতার মধ্যে দুজনার টাকায় ইতিমধ্যেই ঢুকেছে একাউন্টে জয়দেব সরদারের টাকা এখনো ঢোকেনি। তবে মহকুমা শাসক জানিয়েছে জয়দেব বাবুর ও টাকা দু-একদিনের মধ্যেই ঢুকে যাবে।
বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিক্রম জিৎ চ্যাটার্জি বলেন , কেন্দ্রীয় সরকারের মঞ্চনার কারণেই এই গরিব মানুষগুলো বাড়ি পায়নি । অবশশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই পরিবারগুলো বাড়ি পেল ।
অন্যদিকে বিজেপির দাবি , আবাস যোজনা নিয়ে শাসকদলের দুর্নীতির কারণে ওই পরিবার এই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী বলেন , শাসকদলের নেতারা টাকা নিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের আবাসের বাড়ি দিয়েছে অথচ যাদের বাড়ি পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে তারা বাড়ি পায়নি।
বিষ্ণুপুর মহাকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান , এতদিন পর্যন্ত সেভাবে আমরা তাদের সহযোগিতা করতে পারেনি তারা অত্যন্ত দরিদ্র । বাংলার আবাস যোজনায় তাদের এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct