নুরুল ইসলাম খান , কলকাতা, আপনজন: ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে যত সম্প্রতি আছে সেটি মহান আল্লাহর। কোন মানুষ বা সরকারের নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বাবার ক্ষমতা নেই এই সম্পত্তি হাতিয়ে নেবে। ফুরফুরা শরীফের অনাথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকীর ডাকে বৃহস্পতিবার রানি রাসমণিতে ডাকা একটি সমাবেশে এই কথা বলেছেন কলকাতার নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই কথা বলেছেন। তিনি বলেন আসলে এই রাজ্য সহ দেশকে উত্তপ্ত করে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়াচ্ছেন সরকার।
বাবরি মসজিদ ভাঙার ব্যপারে সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়েছি। তারপর সম্বলপুর,জ্ঞানবেপি মসজিদ সহ একাধিক জায়গায় সংখ্যালঘুদের খুন করা হচ্ছে। মাদ্রাসা ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। তাঁদের কোন নিরাপত্তা নেই, সুরক্ষিত নয়। এবার আজমির দরগায় লিঙ্গ আছে বলে দাবি তোলা হয়েছে!
বাংলাদেশে যেটা হচ্ছে সেটি অন্যায়। প্রতিবাদ নেই একাংশ সংবাদ মাধ্যমের।
দক্ষিণ ভারতেও অনেক দেবত্ব সম্পত্তি রয়েছে সেখানের জমি র কোন অধিকারের কথা আলোচনা হয়না। ওয়াকফ থেকে
মসজিদের ঈমাম ও সেখানকার উন্নয়নে আয় মসজিদ মাদরাসা ও ইমামের খরচ চালানো হয়।
তিনি জোর গলায় বলেন এই বিল কোনদিন পাশ পাশ হবে না।
আমাদের দেশ ধর্ম নিরপেক্ষ।
সম্প্রীতির দেশ এই রাজ্য তার বড়ো নিদর্শন হলো ফুরফুরা শরীফের পীর দাদা হুজুর প্রতিষ্ঠিত তিনদিন ব্যপি ঈসালে সওয়াবে হিন্দু খ্রীস্টান সহ সমস্ত ধর্মের মানুষ সেখানে মিলিত হয়ে দোয়া চাই ছে সম্প্রীতি বজায় রেখেছে। অর্থাৎ আমি মুসলিম হিসাবে বলতেই পারি আমার ধর্ম আমার কাছে শ্রেসট। ধর্ম যার যার উৎসব সবার।মমতা সেই আদর্শ শিখিয়েছেন।
সভার আয়োজক পীরজাদা তহা সিদ্দিকী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার জালেম। কোন ব্যক্তি নিজের ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে লিখলেই অন্য ধর্মকে ভালবাসতে জানবেনা। তিনি বলেন এই রাজ্য সম্প্রীতির পবিত্র পীঠস্থান। এ ক্ষেত্রে বড়ো অবদান রেখেছেন ফুরফুরা শরীফের পীর হযরত দাদা হুজুর, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ও স্বামী বিবেকানন্দ সহ বহু মনীষীরা। তিনি বলেন হিন্দু ও মুসলমান জাগো শুকনিমার্কা মানুষের বিরুদ্ধে। যারা দাঙ্গা ও ধংস করতে চাই এই সোনার বাংলা কে। এদিন কিছু মিডিয়ার উস্কানি মূলক খবরের ঘোর বিরোধিতা করেন।
অন্যায় করে কিছু সাধারণ মানুষ কে ধরে জঙ্গি তকমা দিচ্ছেন। বলেছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন অন্যায়। এদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে মেডিয়া সেটা দেখতে পাচ্ছেন না?প্ররোচনায় পা দেবেন না। শেষে বলেন আমরা হিন্দু,মুসলমান ও বৌদ্ধ সহ সবাই এক ছিলাম, আছি এবং থাকব ইনশাআল্লাহ। সভার শেষে শান্তি ও মানবকল্যাণের জন্য দোয়া করেছেন ক্বারী ইসমাইল সিদ্দিকী। এদিন উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সাহাবুদ্দীন, কাজল শেখ, অশোকগিরি, কাজি জালাল, কুতুবউদ্দিন তরফদার ও আইনজীবী রফিকুল ইসলাম এবং রাজখোলা ও ধসা দরবার শরীফের পীরজাদা আউলিয়া আব্বাসী ছাড়াও অনেকেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct